রঙ্-বাহারি

বাণী
বলুন! নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ সারা জাহানের রব আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরীক নেই, আর আমি এর জন্যেই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমিই প্রথম আত্মসমর্পণকারী’’
-সূরা আনআম- ১৬২-১৬৩
শিক্ষাঙ্গন
কিছু মোটিভেশনঃ তুমি যদি হাজার মাইল পথ অতিক্রম করতে চাও, তোমার পথচলা কিন্তু শুরু হবে এক স্টেপেই! বাংলা একটি কবিতার লাইন এমন আছে ‘ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল/গড়ে তুলে মহাদেশ সাগর অতল’” আমাদের ছোট ছোট অর্জনগুলোই একসময় আমাদের জন্যে বড় কিছু হয়ে অর্জনের স্বপ্ন দেখাবে। সেজন্যে খুব ছোট হলেও সুযোগ কখনো হাতছাড়া করা যাবে না। সুযোগের সদ্বব্যাবহার করতে হবে। আমার এক উস্তাদ প্রায় একটি নছিহত দিতেন, বলতেন বাবারা! ক্লাসে ফাঁকি দিও না, একদিন ক্লাস ফাঁকি দিলে তোমার সেই পড়া পুষিয়ে নিতে চল্লিশদিন পেছাতে হবে। ঠিক তাই, অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি কথাটা বাস্তব। আর এই পড়ালেখার মতোই আমাদের বিভিন্ন ছোট ছোট কাজগুলো, যা ফেলে রাখলে একসময় আমাদেরকেই তা করতে হবে। কিন্তু তখন তা বিরাট আকার ধারণ করবে।
আলিম/এইচএসসির রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে কয়েকদিন হলো। অনেকেই কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট করতে পারেনি। যারা পারোনি তারা দুঃখ করে লাভ নেই, মনে রাখবে আলিম/এইচএসসির ভালো রেজাল্টের ফুটানি মাত্র দু’মাস। তুমি যদি রেজাল্টের দিকে না চেয়ে ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষায় এটেন্ডের মতো রেজাল্ট নিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ফাটিয়ে দিতে পারো, তবে তুমিই বস। সেটা তোমার জন্যে সারাজীবন গর্বের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সুতরাং যারা ভালো রেজাল্ট হয়নি বলে চিন্তিত, হতাশাগ্রস্ত তারা নতুন উদ্যোমে কাজে লেগে যাও। আলোকিত ভবিষ্যৎ তোমাকে স্বাগতম জানাতে মুখিয়ে আছে।
বুক রিভিউ
তাতারীদের ইতিহাস : আমাদের অধপতন-উত্থানের গল্প
আমাদের ঐতিহ্য ভুলে বেভুলা জাতিতে পরিণত হয়েছে সে কয়েক শতক আগেই। আমাদের তারুণ্য আজ নিজেদের শ’বছর আগের ইতিহাস ঐতিহ্যের খবর জানে না। জানে না দিগবিজয়ী বীর মুসলিমদের আলোকিত অধ্যায়ের সোনালী উপাখ্যান। শুধু জানে না বললে ভুল হবে, সত্যি বলতে কি এসব জানার চেষ্টাই আমাদের মাঝে নেই। পুরনো জৌলুশ হারিয়ে ঘুণেধরা এক অসহায়ত্বের খাঁচায় ধীরে ধীরে বন্দি হচ্ছি।
ড. রাগীব সারজানী। তুরস্কের এক বিদগ্ধ লেখক। ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। ইতিহাস চর্চার প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ। মুসলিম বিশ্বের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের ইতিহাসগুলো একে একে তুলে আনার কাজে যিনি সম্পৃক্ত নিজ থেকেই। সেই মধ্যযুগে বিশ্বময় ঘটে যাওয়া মোঙ্গল তান্ডব চক্ষুষ্মান মাত্রই জানেন। বিশ্বময় নৈরাজ্য-নিপীড়ণের এক স্রোত বয়ে গিয়েছিল মানুষদের উপর দিয়ে। চেঙ্গিস খান, হালাকু খান নামক দুই রাক্ষস বিশ্বময় মুসলিম বিনাশের মহড়ায় নেমেছিল। তৎকালীন বিশ্বের সমৃদ্ধ নগরী বাগদাদকে ধ্বংস করতে তাদের তাতারীদের সময় লেগেছিল মাত্র তিনদিন। লাখ লাখ কিতাব পুড়িয়ে দিয়েছিল। বাগদাদ শহরের রাস্তায় টাখনুসম রক্তের স্রোত বয়েছিল। এমন আরো রোমহর্ষক নিপীড়ন সয়েছিল মুসলিমরা।
হ্যাঁ, সেখান থেকেও বিজয়ী হয়েছিল মুসলমানরা। একজন রুকনুদ্দিন বাইবার্সের হাত ধরে মুসলমানরা খোঁজে পেয়েছিল মুক্তির দিশা। মোঙ্গল ঝড় থামিয়ে আবারো বিশ্বময় আলো ছড়িয়েছে ইসলাম। এই হলো তাতারীদের ইতিহাস।
ড. রাগীব সারজানী লিখিত মূল্যবান এই বইখানা ছাপিয়েছে ঢাকার ‘মাকতাবাতুল হাসান। বাংলাদেশের অভিজাত লাইব্রেরিতে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।

Indonesia. Bali. Bedugul. Ulun Danu Temple On Lake Bratan. (Photo by: Marka/UIG via Getty Images)

দুই বিস্ময়বালক
১। লিটল প্রফেসর হাম্মাদ সাফি:
মাত্র নয় বছরের একটি শিশু বক্তব্য দিচ্ছে বিশাল কনফারেন্সে। একটার পর একটা আর্টিকেল লিখে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে পাকিস্তানবাসীকে। ভাবা যায় এমন অবিশ্বাস্য কিছু! হ্যাঁ, এটাই সত্য। আর এই সত্য তেমন দূরে নয়। পাকিস্তানের সেই বিস্ময়বালকের নাম হাম্মাদ সাফি। বয়স এখন তেরো। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে মোটিভেশনাল স্পীকার হিসেবে বক্তব্য দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে পুরো বিশ্ববাসিকে। সাক্ষাৎকারে এমন কিছু বক্তব্য তুলে ধরছে যা একজন প্রাপ্ত বয়স্কের কাছ থেকেও অনেক সময় পাওয়া দুষ্কর। পুরোদমে আল্লামা ইকবাল (রহ.) এর একজন ভক্ত সে। সে কথা বলে ধর্মের আবশ্যকতা নিয়ে। কথা বলে দেশপ্রেম নিয়ে। কথাবলে অর্থনীতি সম্পর্কে। শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে তার দূরদর্শী চিন্তার বয়ান শুনলে সত্যিই বিস্মিত হতেই হয়। পাকিস্তানি শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তার অন্যতম একটি চিন্তা হলো, পাকিস্তানি শিক্ষাব্যবস্থা হবে এমন যে, শিক্ষার্থীরা শুধু একাডেমিক নয় তারা নৈতিক, মানবিক এবং ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়ে বিশ্বে বিপ্লব ঘটাবে। তার ভাষায়, মে এক ব্লগার হো, এক রাইটার হো, এক মোটিভেশনাল স্পীকার হো! মেরা দুসরা আইডেন্টিটি এহি মে এক মোটিভেশনাল স্পীকার কাম ইন্সপিরেশনাল পারসোন। এই বয়সেই সে সফর করে কাশ্মির থেকে শুরু করে পাকিস্তানের আনাচে-কানাচে। সমগ্রদিন ব্যয় করে মুচি থেকে শুরু করে চা দোকানীর সাথে। জানতে চায় তাদের অনুভূতি। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত সবার সাথেই তার কনফারেন্স। আল্লাহ প্রদত্ত এক বিস্ময় প্রতিভা এই ‘ওয়ার্ল্ড ফেমাস লিটল প্রফেসর হাম্মাদ সাফি!’

Comments

comments

About

Check Also

এক বছরের রাজা

এক শহরে একজন বড় ব্যবসায়ী ছিল। সে দেশ বিদেশে মালামাল বিক্রি করত। তার ছিল অনেক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *