মিতুর পরিবর্তন

মিতু। পুরো নাম সাবিকুন নাহার মিতু। স্বাভাবিক ভাবেই পরিবারের সকলের সম্মতিতে স্কুলেই শুরু হয় তার শিক্ষা জীবন। স্কুলের পরিবেশ তাকে বেশি না হলেও একটু-আধটু স্টাইলিশ করে তুলেছিল। জীবনের রং, ঢং, তামাশা তাকে অনেকটাই আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। মানুষের জীবনের কর্ম দুই ধরনের হয়ে থাকে–১.পরকালীন মুক্তির আশায় কর্ম।
২. দুনিয়াবি কর্ম। মিতু দুনিয়াবি কর্মেই ব্যস্ত ছিল। ইচ্ছা করে হোক কিংবা পরিবেশের কারণে হোক অথবা না জানার কারণে হোক সে ভালোর পথে, সঠিক পথে, মুক্তির পথে হাঁটছিল না। তাঁর মনে আল্লাহর ভয়, রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসার উদ্রেক হয়নি। জীবন তাঁর ইচ্ছাস্বাধীন চলছিল। যেহেতু সে স্কুল পড়ুয়া, সেহেতু তাঁর দ্বীনি বিষয়ে তেমন কিছু না জানারই কথা।
যাই হোক, এখন সে স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে পা রাখল। হঠাৎ করেই ইসলামিক বিষয়গুলো জানতে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠল। ইতোমধ্যেই, বইয়ের সাহায্যে, ওয়াজ শুনে কিংবা দ্বীনি কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে বেশকিছু জেনে গেছে। তাঁর মনে আল্লাহর ভয় জাগতে শুরু হলো। প্রিয় রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসা পেতে কেঁদে যায় নিরন্তর। জীবনের শত ভুল কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে হাত তুলে অশ্র“ ঝরিয়ে ক্ষমার আশায় ফরিয়াদ করে মহান মাওলা পাকের আলিশান দরবারে। সে এখন জানে এবং বুঝে দুনিয়া কিছুই নয়,পরকালীন মুক্তিই আসল। খোদার কাছে সে তাঁর একজন উত্তম দ্বীনি জীবন সঙ্গী কামনা করে,যেন পরকালীন মুক্তির আশায় কর্ম করে বাকি জীবন কাটাতে পারে। এখন মিতুর অশ্র“সিক্ত কামনা হলো–
‘জেনে না জেনেও আমি করেছি কত পাপ
হে দয়াময়! রহম করে দাও গো মোরে মাফ।’

Comments

comments

About

Check Also

এক বছরের রাজা

এক শহরে একজন বড় ব্যবসায়ী ছিল। সে দেশ বিদেশে মালামাল বিক্রি করত। তার ছিল অনেক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *