মহানবী (সা.)-র সমাজ-জীবন

মানুষ সামাজিক জীব। সমাজেই মানুষের বসবাস। সমাজ সুন্দর হলে মানুষও সুন্দর হতে বাধ্য। এ জন্যে পৃথিবীর বুকে যতো নবী-রাসূল পদার্পন করেছেন তাঁরা সবাই সামাজিক ছিলেন এবং সমাজ সংস্কারই ছিল তাদের মূল টার্গেট। এ ক্ষেত্রে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবার শীর্ষে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সামজিক ঐক্য, সংহতি, ও অনুপম ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের সাথে জীবন যাপন করার জন্যই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন যা বর্ণনাতীত। সমাজের একটি পথভোলা মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দেওয়ার জন্য আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জীবন বাজি রেখে কাজ করে গেছেন। নিুে মহানবী (সা.)’র সমাজ জীবন নিয়ে কিঞ্চিত আলোকপাত করা হলো।
সমাজ থেকে মদ, জুয়া, দুর্নীতি, খুন-খারাবী ও কুসংস্কার দূর করার জন্য মহানবী (সা.) গভীর চিন্তায় মগ্ন থাকতেন।
তৎকালীন সমাজে সামান্য বিষয় নিয়ে মাসের পর মাস যুদ্ধ বিগ্রহ লেগেই থাকতো। হারবুল ফুজ্জার তার অন্যতম। ইসলাম পূর্বযুগে যে কয়েকটি মাসে যুদ্ধ নিষিদ্ধ ছিল সে সময় যুদ্ধ সংগঠিত হয়ে ছিল বলে উহাকে হারবুল ফুজ্জার বা পাপিদের যুদ্ধ নামে অভিহিত করা হয়। কুরাইশ ও কায়েছ আয়লান গোত্রের মধ্যে যুদ্ধটি সংগঠিত হয়েছিল। কুরাইশগণ সংগত কারণে তাতে জড়িত হয়ে পড়েন। কারণ তাতে সামাজিকভাবে বংশের মান-মর্যাদারও প্রশ্ন জড়িত ছিল। সে জন্যই রাসূলে পাক (সা.) বালক বয়সে আত্মীয়-স্বজনের সাথে সেই যুদ্ধে শরীক হন। তখন হুজুর (সা.) এর বয়স ছিল চৌদ্দ কি পনের। ইমাম সুহাইলি বলেন, রাসূল (সা.) নিজে যুদ্ধ করেন নি। তিনি শত্র“ কর্তৃক নিক্ষিপ্ত তীরগুলো যুদ্ধক্ষেত্র হতে সংগ্রহ করে পিতৃব্য আবু তালিবের হাতে দিতেন। একাধিকক্রমে এ যুদ্ধ পাঁচ বৎসর ধরে চলছিল। হাজার হাজার লোক তাতে প্রাণ হারিয়েছিল। রাহমাতুল্লিল আলামীন এ অন্যায় যুদ্ধের বিভীষিকা ও তাণ্ডবলীলা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছিলেন এবং তা তাঁর কোমল হৃদয়ে গভীর রেখাপাত করেছিল।
রাসূলে পাক (সা.) ফুজ্জার যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তন করে পিতৃব্য যোবায়ের বিন আব্দুল মুত্তালিবের আহ্বানে এক সম্মেলন ডাকলেন। এতে সমাজের নেতৃত্বদানকারী গোত্রসমূহ বিশেষ করে বনু হাসিম, বনু জোহরা, বনু তামিম ও অন্যান্য গোত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ আব্দুল্লাহ বিন জাদআনের গৃহে সমবেত হন এবং একটি চুক্তি সম্পাদন করেন। এ চুক্তি বা প্রতিজ্ঞার উদ্যোক্তাদের অনেকের নাম ফজল থাকায় প্রতিজ্ঞাটির নাম ‘হালফুল ফুজুল’ বা ফজলদের প্রতিজ্ঞা নামে খ্যাত। বিশেষ করে তিন ব্যক্তির নাম উল্লেখযোগ্য-যেমন, ফজল ইবনে ফাদালাহ, ফজল ইবনে ওয়ার্দাহু ও ফজল ইবনে হারিছ। সমাজের এ কল্যাণমূলক সংগঠনের কর্মসূচী বা উদ্দেশ্যাবলি ছিল নিুরূপ:
ক. আমরা দেশে অশান্তি দূর করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
খ. বিদেশী বা পথিকের ধন-সম্পদ, মান-সম্মান রক্ষা কল্পে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
গ. বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপনের চেষ্টা করব।
ঘ. জালিমের হাত থেকে মজলুমদের রক্ষা করব এবং মজলুমের হক বা অধিকার আদায় না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হব না।
চ. যতদিন পর্যন্ত একটি লোম সিক্ত করার মতো পানি অবশিষ্ট থাকবে ততোদিন এ প্রতিজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
অন্ধকার আরবের সামাজিক দূরবস্থার ক্ষেত্রে এ সংগঠনের কর্মসূচী ছিল শান্তির মূর্তপ্রতীক। ফলে মক্কা নগরীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ল শান্তির আলো। স্বয়ং রাসূল (সা.) একজন পরিচালক হিসেবে একনিষ্ঠভাবে জনসেবা করে চললেন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যায়ের পক্ষে স্বয়ং গোত্রের বিরুদ্ধে কথা বলতে বিন্দুমাত্র পরওয়া করতেন না। যার ফলে মক্কাবাসী রাসূল (সা.) কে ২৫ বছর বয়সে ‘আল-আমীন’ বিশ্বাস ভাজন, ‘আস সাদিক’ বা সত্যবাদী উপাধিতে ভূষিত করে।
বিশ্বনবী (সা.) সর্বদা সমাজে জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের সাহায্যে তৎপর থাকতেন। ‘রাহমাতুল্লিল আলামীন’ গ্রন্থে তার একটি প্রমাণ নিুের ঘটনা দ্বারা পাওয়া যায়। একদিন আবু জেহেল দু’টি এতিম বালকের মালামাল আত্মসাৎ করে বসল। বালক দু’টি রাসূল (সা.)-এর কাছে বিচারপ্রার্থী হলো। মহানবী (সা.) তৎক্ষণাৎ বালক দু’টিকে নিয়ে আবু জেহেলের বাড়িতে উপস্থিত হলেন এবং হুকুম দিলেন বালকদ্বয়ের মালামাল ফিরিয়ে দিতে। আবু জেহেল শোনামাত্রই মালামাল বালকদের ফিরিয়ে দিল। আবু জেহেলের সাথীরা জিজ্ঞাসা করল। আল আমীন এর কথা শোনামাত্রই বালকদের মালামাল ফিরিয়ে দিলেন কেন? আবু জেহেল বলল, শুন, আমি মুহাম্মদ (সা.) কে ভয় করি না কিন্তু তাঁর দিকে লক্ষ্য করতেই দেখতে পেলাম, একটি নর উঠ আমাকে গিলে ফেলার জন্য হা করে আছে। যদি আমি তাঁর কথামতো মালামাল ফিরিয়ে না দিতাম তাহলে মৃত্যু আমার জন্য অবধারিত ছিল।
মহানবীর বয়স যখন ৩৫ বৎসর তখন কুরাইশগণ কাবাঘরকে নতুনভাবে নির্মাণের প্রয়োজন মনে করেন। কারণ প্রাচীন কাবাঘরের দেয়াল খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এছাড়া অতিবৃষ্টির ফলে গর্তে পানি জমে ঘরটি ভেঙ্গে যাবার উপক্রম হয়েছিল। যখন কাবাঘরের কাজ সম্পূর্ণ হলো এবং হাজরে আসওয়াদকে যথাস্থানে স্থাপনের সময় হলো তখন কাবাঘর মানুষ সমান উঁচু হবার পর এক সমস্যা দেখা দিল। ‘হাজরে আসওয়াদ’ পাথরটি কিভাবে, কাদের দ্বারা স্থাপন হবে। কাবাঘরে কালোপাথর স্থাপন খুবই সম্মানজনক ব্যাপার। তাই আরবের প্রধান চার গোত্র আপন আপন শক্তি নিয়ে দাঁড়ালো কালোপাথর স্থাপনের জন্য। এমন দুই প্রধান সম্প্রদায় বনু আব্দুদদার ও বনু আদি সামনাসামনি যুদ্ধ করার জন্যে দাঁড়িয়ে পড়ল। বনু আব্দুদদার সবার সম্মুখে রক্তাক্ত তরবারী হাতে নিয়ে শপথ করে বসল যে, তারা এই পাথর কাবাগৃহে স্থাপন করবেই। যা ইতিহাসে ‘রক্ত শপথ’ নামে পরিচিত। এরই মধ্যে অতিবৃদ্ধ ও মহাজ্ঞানী আবু উমাইয়া বিন আল মুগিরা আল মাজুমী অবস্থা ভয়াবহ অনুধাবন করে সবাইকে ডেকে বললেন, ‘তারা সবাই যেন তাঁকে এই বিচারের দায়িত্বভার অর্পণ করেন।’ সব গোত্র তাকে সম্মতি দিল। তিনি বললেন, ‘আগামীকল্য যিনি সর্বপ্রথম বাবুস সাফাতে প্রবেশ করবেন, তিনিই রায় প্রদান করবেন। এই রায় সবাই মেনে নিতে হবে।’ বৃদ্ধের এ প্রস্তাবে সবাই সম্মত হলেন। পরদিন দেখা গেল ভোরভেলায় ন্যায়ের মূর্তপ্রতীক বিশ্বমানবের কল্যাণ ও মুক্তিদাতা সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজ হিতৈষী হজরত মুহাম্মদ (সা.) প্রথম প্রবেশ করলেন। তখন সবাই আনন্দচিত্তে চিৎকার দিয়ে বলতে লাগল, ‘আল আমীন, আল আমীন।’ তারা বলল, আমাদের ‘আল আমিন’ যা বলবেন, আমরা তা মেনে নেব। সমস্ত ঘটনা শোনার পর মহানবী (সা.) নির্দেশ দিলেন একখণ্ড মজবুত কাপড় আনার জন্যে। কাপড় আনা হলে, তিনি আপন হাত মোবারক দ্বারা পাথরটি কাপড়ের মধ্যস্থলে রাখলেন। চার প্রধান গোত্রের চারজন প্রধান ব্যক্তিকে কাপড়ের চারকোণে ধরে পাথরটিকে যথাস্থানে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। তারা তাই করল। মহানবী (সা.) নিজ পবিত্র হাত দ্বারা পাথরটি সবার মনোনীত স্থানে স্থাপন করে দিলেন। এতে আরব সমাজ তাঁর এই বুদ্ধিমত্তা দ্বারা একটি অত্যাসন্ন গৃহ যুদ্ধ থেকে মুক্তি পেল। তারা সবাই আনন্দিত হল। কাবাঘরের এই পাথর স্থাপনের ন্যায় বিচারের জন্য হজরত মুহাম্মদ (সা.) সারা আরব সমাজে ভীষণ সম্মানিত হয়ে উঠলেন। তখনও তাঁর নবুওয়াত প্রকাশ পাওয়ার ১৭ বছর বাকী।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর দাদা আব্দুল মুক্তালিবের সাংসারিক কাজে সাহায্য সহযোগিতা করতেন। আব্দুল মুত্তালিবের অনেক উঠ ছিল। উট হারিয়ে গেলে তার পুত্রদেরকে প্রেরণ করতেন খুঁজে বের করার জন্য। কিন্তু উট খুঁজে আনতে না পারলে তিনি আপন বরকতময় নাতি হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে প্রেরণ করতেন। এদিকে তিনি কাবা ঘর তাওয়াফের জন্য বেরিয়ে যেতেন। তাওয়াফ করতেন আর বলতেন, হে মুহাম্মদ! আমার উট নিয়ে চলে এস। হে খোদা! মুহাম্মদকে ফিরিয়ে আন। এবং আমার প্রতি রহম কর। দেখা যেত যেখানে আব্দুল মুত্তালিবের পুত্ররা উট খুঁজে আনতে ব্যর্থ সেখানে হজরত মুহাম্মদ (সা.) উট নিয়ে অনায়াসে চলে আসতেন।
রাসূলে পাক (সা.)-এর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো উপকারীর উপকার স্বীকার করা। তিনি তৎকালীন সমাজের যার নিকট থেকে সামান্যতম উপকার লাভ করেছেন তা প্রত্যেক অবস্থাতেই স্মরণ রাখতেন। যেমন শিশুকালে দুধ পান করানোর কারণে হজরত সুওয়াইবা ও বিবি হালিমার সাক্ষাৎ পেলেই নবীজি তাদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখাতেন। বিবি হালিমার জন্য নিজ চাদর বিছিয়ে দেওয়ার প্রমাণও পাওয়া যায়। মহানবী (সা.) মক্কা নগরী থেকে হিজরত করার পরও সুওয়াইবার জন্য বস্ত্রাদি ও উপটোকন পাঠিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেন।
মহানবী (সা.) এমনিভাবে দুধ পিতা হালিমার স্বামী হারিছের সাথে সদাচরণ দেখাতেন। দুধ বোন যথাক্রমে ওনায়সা, হোযায়ফা ও শায়মা এবং দুধ ভাই আব্দুল্লাহর প্রতি স্নেহপরায়ণ ছিলেন।
মহানবী (সা.) সমাজের দুর্দশাগ্রস্থ ও নিপীড়িত মানুষের প্রতি সংবেদনশীল ছিলেন। এজন্য আরব সমাজ তাঁর নগ্নতা, বিনয়, সত্যবাদীতা ও স্বৎস্বভাবের জন্য তাঁকে ‘আল আমীন’ উপাধিতে ভূষিত করে।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) হজরত বেলাল (রাদি.)-কে মসজিদে নববীর মুয়াজ্জিন এবং হজরত যায়েদ বিন হারেসাকে যুদ্ধের সেনাপতি নির্বাচিত করে প্রমাণ করেছেন সমাজের দাসরাও খোদাভীতি ও যোগ্যতা থাকলে উঁচু পদে সমাসীন হতে পারে।
যে সমাজে নারী কোনো মর্যাদাই ছিল না, সে সমাজে মহানবী (সা.) নারীদেরকে উপযুক্ত মর্যাদা দানের ব্যবস্থা করে দিয়ে ঘোষণা করলেন, ‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেস্ত।’ নারীদের উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠা করে ঘোষণা দিলেন, ‘নারীদেরও অংশ রয়েছে তাদের সম্পদে।’ সমাজের অবহেলিত দাসী ও ভোগের সামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত নারী জাতিকে মর্যাদার আসনে আসীন করলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। বহু মুসলমান বাস্তুহারা, আত্মীয়-স্বজনহারা এক কথায় সর্বহারা হয়ে রিক্ত হস্তে মদীনা শরীফে এসেছিলেন। তারা হলেন মুহাজির এবং যারা তাঁদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করেছিলেন তারা হলেন আনসার। মহানবী (সা.) তাঁদের মধ্যে একটি স্থায়ী সামাজিক নিবিড় বন্ধন স্থাপনের আহ্বান জানালেন। এতে বিপুল সাড়া জাগল। প্রত্যেক আনসার প্রত্যেক মুহাজিরকে আপন ভাই রূপে নিজ ঘরে আশ্রয় দিলেন। এমনকি নিজ নিজ স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির অর্ধেক দান করতে প্রস্তুত হলেন।
মহানবী (সা.) আনসার ও মুহাজিরদেরকে একত্রিত করে ভাষণ দিলেন, ‘শোন মদীনাবাসী আনসারগণ, শোন মক্কাবাসী মুহাজিরগণ। ইসলামের আদর্শ হলো প্রত্যেক মুসলমান প্রত্যেক মুসলমানের ভাই। কাজেই আমি চাই তোমরা জোড়ায় জোড়ায় ভাই হয়ে যাও। এ আহ্বানে সকলের মনে এক নতুন উন্মাদনার সঞ্চার হল, সকলে নিজ নিজ পছন্দমতো ভাই বেছে নিলেন।
এমনকি মদীনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আওস ও খাজরাজ গোত্রের মধ্যে পরস্পর ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে দিলেন।
একই সমাজে বসবাসকারী মুসলমান ও অমুসলমান সম্প্রদায়কে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে হিংসা, বিদ্বেষ ও কলহের অবসান করে এক সুমহান সমাজ বিনির্মানে মহানবী (সা.) সফল ব্যক্তিত্ব হিসেবে আরব সমাজে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।
বর্তমান বিশ্বের খ্রিস্টান মিশনারীগণ বিশিষ্ট ডাক্তারদেরকে নির্বাচন করে এ কথায় ব্যাপক ভিত্তিক প্রচারণা শুরু করেছেন যে, ‘কম খাও, নিজে খাও, জীবিকার প্রতি লক্ষ্য রেখে খাও, সমাজকে বাঁচতে দিয়ে নিজে খাও, অপরকে আহার করাও, সামাজিক মানুষ হও, নিজে সুস্থ থাক, অন্যের স্বাস্থ্যের প্রতি দৃষ্টি রাখ।’
অথচ আমাদের বিশ্বনবী সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজবিজ্ঞানী মুহাম্মদ (সা.) এ সকল শ্লোগান দেড় হাজার বছর আগেই দিয়ে গেছেন। যা আজও মানব সমাজের জন্য শতভাগ প্রযোজ্য।

তথ্যসূত্র:
১. সিরাতে মুস্তাফা (সা.);
২. সিরাতুন্ নবী (সা.)
৩. রাহমাতুল্লিল আলামীন (সা.);
৪. আব রাহিকুল মাখতুম;
৫. সুন্নতে রাসূল (সা.) ও আধুনিক বিজ্ঞান

Comments

comments

About

Check Also

আল-কুরআনের আলোকে একনজরে মহানবি স.-এর পরিচয় ও অধিকার

মহানবি স.-এর গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়-০১আল-কুরআন অনুসারে তিনি ছিলেন একাধারেÑ১. নবি২. রাসুল৩. উম্মি বা অক্ষরজ্ঞান অর্জন না …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *