পবিত্র মাহে রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

আরবি মাসসমূহের নবম মাস হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস। আত্মশুদ্ধির মাস। রমজান ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র একটি মাস। এই মাসে সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উদযাপন করে মুসলিম সম্প্রদায়। রোজাকে আরবি ভাষায় সিয়াম বা সাওম, আর ফার্সিতে রোজা বলা হয়। সাওমÑএর শাব্দিক অর্থ বিরত থাকা। আর শরীয়তের পরিভাষায়- ফরজ রোজা রাখার নিয়তে সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জিহ্বা অর্থাৎ কোনো কিছু পানাহার এবং স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকার নাম সাওম বা রোজা। মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন মু’মিন বান্দাদিগকে তার কাছে টেনে নেয়ার জন্য এই পবিত্র মাসের রোজাকে তিন ভাগে বিভক্ত করেছেন। প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাতের এবং তৃতীয় দশদিন দোজখ থেকে মুক্তির জন্য। আল্লাহ পাকের নির্দেশে আকাশের মেঘমালা বছরের প্রথমে যে বারিধারা বর্ষণ করে থাকে, তাতে মৃত জমিন যেমন সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা হয়ে পৃথিবীকে নবশক্তিতে বলিয়ান করে থাকে। অনুরূপভাবে মাহে রমজানের রোজা মু’মিন বান্দাদের আত্মাকে নবশক্তিতে বলিয়ান করে। ইসলামের প্রথম স্তম্ভ নামাজ যেমন মু’মিনদেরকে শিক্ষা দেয় শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তী হওয়ার; তেমনি মাহে রমজানের রোজা শিক্ষা দেয়, তাকওয়া, সহিষ্ণুতা ও সংযম। এক মাস সংযম সাধনার পর পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মাহে নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ আর সুখের বার্তা।
‘শাবান’ মাসকে রমজান মাসের প্রস্তুতিমূলক সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যার সমাপনান্তে রমজানের চাঁদ পশ্চিম আকাশে উদিত হলে যখন একজন মু’মিন বান্দা মনে ইস্পাত কঠিন ঈমান ও ব্যাপক উৎসাহ আগ্রহভরে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার উদ্দেশ্যে নিয়ত করে ফেলেন ও রোজা আদায়ে মশগুল হয়ে যান, তখনই তিনি আল্লাহর রহমতের চাদর দ্বারা আবৃত হয়ে পড়েন। ফলে ইহকালীন শান্তি, পারলৌকিক কল্যাণ ও মুক্তির সনদ রোজাদারের জন্য ঘোষণা করা হয়। রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছেÑ ‘তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেওয়া হলো যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীদের দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা সাবধান হয়ে চলতে পার।’ [সূরা আল-বাকারা; আয়াত : ১৮৩]
রোজা ফরজ হয় দ্বিতীয় হিজরীর শাবান মাসে। রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ১. ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং হযরত মুহাম্মদ সা. আল্লাহর বান্দা ও রাসূল’ বলে সাক্ষ্য দেওয়া ২. নামাজ প্রতিষ্ঠা করা ৩. জাকাত প্রদান করা ৪. রমজান মাসে রোজা পালন করা ৫. সামর্থ্যবান ব্যক্তির বায়তুল্লাহ শরীফ যিয়ারত তথা হজ্জ করা। [বুখারী ও মুসলিম]
রমজানের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, আল্লাহ তা’লা এ মাসটিকে স্বীয় ওহি সহিফা ও আসমানি কিতাব নাজিল করার জন্য মনোনীত করেছেন। অধিকাংশ কিতাব এ মাসেই নাজিল হয়েছে। হাদিসে বর্ণিত, হজরত ইব্রাহিম (আ.)Ñএর সহিফা রমজানের ১ তারিখে, তাওরাত রমজানের ৬ তারিখে, জাবুর রমজানের ১২ তারিখে, ইঞ্জিল রমজানের ১৮ তারিখে এবং পবিত্র কোরআন ক্বদরের রাত্রিতে নাজিল হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা’লা বলেন, নিশ্চয়ই আমি এই কোরআনকে ক্বদরের রাত্রিতে নাজিল করেছি। [সূরা ক্বদর; আয়াত : ১]
মানুষ যেন প্রকৃত মানুষ হতে পারে, তার মধ্যে মনুষ্যত্ব যেন পূর্ণমাত্রায় জাগ্রত হয়, সে যেন খুঁজে পায় চিরমুক্তির মোহনা, যেন পৌঁছতে পারে তার কাঙ্খিত গন্তব্যে বা মনজিলে মাকসুদেÑএ জন্য আল্লাহ তা’লা রমজান মাসে ৩০ দিন রোজার বিধান দিয়েছেন। ইসলামের অন্যান্য বহু আদেশ-নির্দেশের মতো রোজাও ক্রমিক নিয়মে ফরজ হয়েছে। আল্লাহ তা’লা কেবল মাহে রমজানে রোজা নির্দিষ্ট ও এতেই সীমাবদ্ধ করে দেননি; বরং শরিয়তসম্মত কোনো অনিবার্য কারণবশত কেউ রমজান মাসে রোজা পালন করতে না পারলে এরপর অন্য যে কোনো সময় রোজার কাজা আদায় করার পথও উন্মুক্ত রেখেছেন।
পবিত্র মাহে রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে পবিত্র আল-কোরআনে ইরশাদ হয়েছেÑ ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্য-অসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে তারা যেন এই মাসে সিয়াম পালন করে এবং কেউ পীড়িত থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না, এজন্য যে তোমরা সংখ্যা পূর্ণ করবে এবং তোমাদেরকে সুপথে পরিচালিত করার কারণে তোমরা আল্লাহর মহিমা কীর্তন করবে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো।’ [সূরা আল-বাকারা; আয়াত : ১৮৫] রাসূলুল্লাহ সা. রমজান মাসের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতেন এবং রজব মাসের চাঁদ দেখে রমজান প্রাপ্তির আশায় বিভোর থাকতেন। শাবান মাসকে রমজানের প্রস্তুতি ও সোপান মনে করে তিনি বিশেষ দোয়া করতেন এবং অন্যদেরকে তা শিক্ষা দিতেন। শাবান মাসের চাঁদ দেখার সাথে-সাথে সাহাবীগণ অধিক পরিমাণে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত শুরু করতেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়োজিত ব্যক্তিরা হিসাব-নিকাশ চূড়ান্ত করে জাকাত প্রদানের প্রস্তুতি নিতেন। প্রশাসকেরা কারাবন্দী লোকদের মুক্তির উদ্যোগ গ্রহণ করতেন। রাসূলুল্লাহ সা. যখন শাবান মাসে উপনীত হতেন, তখন মাহে রমজানকে স্বাগত জানানোর উদ্দেশ্যে আবেগভরে আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করতেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের রজব ও শাবান মাসের বিশেষ বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিন।’ [মুসনাদে আহমাদ]
মাহে রমজানের অসীম কল্যাণ ও বরকত লাভের প্রত্যাশার জন্য দৈহিক ও মানসিকভাবে ইবাদতের প্রস্তুতি গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। রমজান মাসের অশেষ ফজিলত ও সম্মানজনক মর্যাদা সম্পর্কে হাদিস শরীফে বলা হয়েছে, ‘যখন রমজান মাস আগমণ হয় তখন আকাশ বা বেহেশতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, সারা রমজান মাসে তা বন্ধ করা হয় না, আর দোজখের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়, সারা রমজান মাসে তা খোলা হয় না, আর শয়তানকে জিঞ্জিরে বন্দী করা হয়।’ [তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ]


রাসূলুল্লাহ সা. একদা শাবান মাসের শেষ দিনে সাহাবায়ে কেরামকে লক্ষ্য করে মাহে রমজানের রোজার ফজিলত সম্পর্কে বলেন, ‘তোমাদের প্রতি একটি মহান মোবারক মাস ছায়া ফেলেছে। এ মাসে সহ¯্র মাস অপেক্ষা উত্তম একটি রজনী আছে। যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো নেক আমল দ্বারা আল্লাহর সান্নিধ্য কামনা করে সে যেন অন্য সময়ে কোনো ফরজ আদায় করার মতো কাজ করল। আর এ মাসে যে ব্যক্তি কোনো ফরজ আদায় করে, সে যেন অন্য সময়ের ৭০টি ফরজ আদায়ের নেকি লাভ করার সমতুল্য কাজ করল। এটি সংযমের মাস আর সংযমের ফল হচ্ছে জান্নাত।’ [মিশকাত]
রমজান মাস মুসলমানদের নিয়মতান্ত্রিক পানাহার, চলাফেরা, ঘুমসহ নানা ইবাদত-বন্দেগিতে আধ্যাত্মিক জীবনে নবজাগরণ সৃষ্টি করে। মু’মিন বান্দারা এ মাসে আল্লাহর রহমত লাভের জন্য সদা তৎপর থাকেন। প্রকৃতপক্ষে মাহে রমজান মুসলমানদের জন্য একটি বার্ষিক প্রশিক্ষণ কোর্স, যার মাধ্যমে রোজাদারদের জীবন প্রভাবিত হয়। নবী করিম সা. বলেছেনÑ ‘যে ব্যক্তি ঈমান ও আত্মবিশ্লেষণের সঙ্গে রোজা রাখবে তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ [বুখারী ও মুসলিম]
মাহে রমজানে রোজা পালনের প্রতিদান সম্পর্কে হাদিসে কুদসীতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেনÑ ‘আল্লাহ তা’লা বলেছেন- আদম সন্তানের প্রত্যেকটি কাজ তার নিজের জন্য, তবে রোজা ব্যতীত; কেননা রোজা আমার জন্য এবং আমিই তার প্রতিদান দেব।’ [বুখারী ও মুসলিম]
মাহে রমজানে অবশ্যই রোজাদারকে যাবতীয় পাপকাজ যথাÑ পরচর্চা, পরনিন্দা, ঝগড়া-বিবাদ, সুদ-ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, হারাম, অশ্লীলতা, ব্যভিচার, বেহায়াপনা, অন্যায়-অত্যাচার, ওজনে কম দেওয়া, খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল দেওয়া প্রভৃতি শরীয়ত পরিপন্থী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে। সুতরাং প্রত্যেক রোজাদার মুসলমান নর-নারীর জীবনের পাপকাজ থেকে মুক্ত থেকে মনুষ্যত্বের গুণাবলি অর্জনে নীতি-নৈতিকতা, সততা ও ন্যায়নিষ্ঠা প্রদর্শনপূর্বক রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পরিপূর্ণ করার প্রত্যয়ে অধিক পরিমাণে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া-ইস্তেগফার, তাসবিহ-তাহলিল, জিকির-আজকার, জাকাত-ফিতরা, দান-সাদকা ও তারাবিহ-তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়সহ ইবাদত-বন্দেগি করে অশেষ পুণ্য লাভের জন্য মাহে রমজানে অবশ্যই আত্মনিয়োগ করা উচিত।
রমজান মাসটি হলো ইবাদতের মৌসুম। এ মাসে ইবাদতের গুরুত্ব অনেক বেশি। নানা হাদিসে এ মাসে বিভিন্ন ইবাদতের ছাওয়াব নানাভাবে বর্ণিত হয়েছে। যেমনÑ
ক. এ মাসে একটি উমরা করলে একটি হজ্জ আদায়ের সাওয়াব হয় এবং তা রাসূলুল্লাহ সা.Ñএর সাথে হজ্জ আদায়ের মর্যাদা রাখে। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘রমজান মাসে উমরা করা আমার সাথে হজ্জ আদায় করার সমতুল্য’। [বুখারী : ১৮৬৩; মুসলিম : ১২৫৬]
খ. রমজানে ইবাদতে রাত্রি জাগরণের ফযিলত বিশেষভাবে বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে নেকীর প্রত্যাশায় রমজানের রাত্রি জাগরণ করবে তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ [বুখারী : ৩৭; মুসলিম : ৭৬০; তিরমিযী : ৬১৯]
গ. রমজানের শেষ দশকে রাসূলুল্লাহ সা. বিশেষভাবে ইবাদতে মনোনিবেশ করতেন। হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সা. রমজানের শেষ দশকে বেশি-বেশি ইবাদতে মনোনিবেশ করতেন, যতটা তিনি অন্য দিনগুলোতে করতেন না।’ [মুসলিম : ১১৭৫; তিরমিযী : ৭২৬] হযরত আয়েশা রা. থেকে আরও বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ‘রমজানের শেষ দশক এলে রাসূলুল্লাহ সা. তার লুঙ্গি শক্ত করে বাঁধতেন এবং তিনি এর রাতগুলোতে নিজে জাগতেন আর পরিবারকেও জাগাতেন।’ [বুখারী : ২০২৪; মুসলিম : ১১৭৪; নাসায়ী : ১৬২১]
ঘ. তাছাড়া এ মাসে মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘মাহে রমজানে প্রতিরাত ও দিনের বেলায় বহু মানুষকে আল্লাহ তা’লা জাহান্নাম থেকে মুক্তির ঘোষণা দিয়ে থাকেন এবং প্রতিটি রাত ও দিনের বেলায় প্রত্যেক মুসলিমের দু’আ ও মুনাজাত কবুল করা হয়ে থাকে।’ [মুসনাদ আহমদ : ৭৪৫০]
সুতরাং পবিত্র এ মাসটি ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাটানোÑঅর্থাৎ সাওম পালন করা এবং কোনো ইবাদতগাহে একাকী নির্জনে থাকা তথা ইতিকাফ করা এবং ওহী নাযিলের রাত তথা লাইলাতুল ক্বদরে নির্ঘুম থেকে ইবাদত-বন্দেগী করা ও সিজদাবনত থাকা সকল মুসলমানের কর্তব্য, যাতে আমরা নিজেদের ওপর ওই হালত ও অবস্থা সৃষ্টি করতে পারি এই সময়ে যে হালত প্রকাশিত হয়েছিল মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা.Ñএর ওপর। যাতে আল্লাহ তা’লা প্রদত্ত নিয়ামত ও হেদায়েত থেকে আমরা পূর্ণরূপে লাভবান হতে পারি এবং হেদায়েত ও নিয়ামতের কথা স্মরণ করে মহান রবের শুকরিয়া আদায় করি। আমরা যেন রমজানকে অর্থ-কড়ি কামাইয়ের মৌসুম না বানিয়ে ইবাদতের মৌসুম হিসেবেই গ্রহণ করি।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে পূর্ণ সাফল্য ও কামিয়াবীর সঙ্গে মাহে রমজান যাপনের তাওফিক দান করুন। আমাদের সকলকে মাহে রমজানে ক্ষমা ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় জায়গা দিন। আল্লাহুম্মা আমিন!!!

Comments

comments

About

Check Also

রাসুলুল্লার হিজরাত : প্রাসঙ্গিক ভাবনা

পৃথিবীতে তখন ঘোর অমানিশার রাজ। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। যে ভিন্নতার জন্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *