জামাআতে শামিল হওয়ার জন্য মহিলাগণের মসজিদে গমন
হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যদি রাসূলুল্লাহ স. জানতেন যে, মহিলারা কি অবস্থা সৃষ্টি করেছে (কিছুটা অশালীনতা বা রাখ-ঢাকহীনতা), তাহলে তাদেরকে মসজিদে আসতে নিষেধ করে দেয়া হত যেমন নিষেধ করা হয়েছিল বনী ইসরাঈলের মহিলাদেরকে। হাদীছের রাবী ইয়াহইয়া বিন সাঈদ বলেন, আমি আমরাহ রা.-কে জিজ্ঞেস করলাম, বনী ইসরাঈলের নারীদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল কি? তিনি বললেন : হ্যাঁ। -বুখারী-৮২৭
উল্লেখ্য, হযরত ওমর রা. তার আমলে মহিলাদেরকে মসজিদে আসতে নিষেধ করে দিয়েছিলেন। আর খোলাফায়ে রাশেদার (আবুবকর, ওমর, ওসমান ও আলী রা.-এর) সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরতে জোরালো নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মাদ স. নিজেই।
সালামের পরে জিকির বা দুআ-কালাম পাঠ করা মুসতাহাব পর্যায়ের সুন্নাত
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেন যে, নবী করীম স.-এর সময় মুসল্লীগণ ফরয সালাত শেষ হলে উঁচু আওয়াজে জিকির (দুআ-কালাম)
করতেন। ইবনে আব্বাস রা. বলেন : আমি এরূপ শুনে আমি বুঝতে পারতাম, মুসল্লীগণ সালাত শেষ করে ফেলেছেন। -বুখারী-৮০১
সালাম ফেরানোর পরে ইমাম মুকতাদিগণের দিকে ফিরে বসা মুস্তাহাব পর্যায়ের সুন্নাত
হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ স. যখন সালাত শেষ করতেন, তখন আমাদের দিকে মুখ ফেরাতেন। -বুখারী-৮০৫
এক শব্দে ৩ তালাক দিলে ৩ তালাকই পতিত হবে
ইয়াহইয়া রহ. হযরত মালেক রহ. থেকে বর্ণনা করেন যে, ত্ার (হযরত মালেক রহ.-এর কাছে) কাছে এই বার্তা পৌঁছেছে যে, এক ব্যক্তি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.-এর কাছে আরজ করল, আমি আমার স্ত্রীকে একশত তালাক দিয়েছি; আমার এই কাজের ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? জবাবে ইবনে আব্বাস রা. বললেন : তোমার পক্ষ থেকে ৩ তালাক আদায় হয়েছে আর বাকি ৯৭টি তালাক দিয়ে তুমি আল্লাহর আয়াত/বিধান-এর সাথে ঠাট্টা (বেআদবী) করেছ। -মুআত্তায়ে মালিক রহ., কিতাব ২৯: আত-তালাক, বাব ১: মা জাআ ফিল-বাত্তাহ, হাদীছ-১