‘আমার বড় বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মনে করতেন মেয়েদের বাড়ির বাহিরে যাওয়া তো দুরের কথা, তাদের হাতের লেখাও পরপুরুষেরা দেখলে পাপ হয়। এরই সামাজিক পরিস্থিতিতে আমি লেখালেখি করতাম। অবশ্য সে তুলনায় আমাদের পরিবার অনেক উদার ছিল’— রাবেয়া খাতুন।
গল্প মানে বাস্তব অবাস্তবের সংমিশ্রণ, গল্পে মানে মনের ভিতরে লুকিয়ে থাকা না বলা কথা। গল্প মানে গোপন কিছু, গল্প মানে না বলা কথা,গল্প মানে নিজের কথা অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়া, গল্প মানে মিথ্যের মাঝে সত্যকে সাজিয়ে দেয়া। কিন্তু গল্প যে কখনো পুরোটাই বাস্তব আর সত্য হতে পারে তা জানতে পেরেছি ‘গল্পকার’ পত্রিকার সম্পাদক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন এর সম্পাদনায় প্রকাশিত হওয়া বই বরেণ্য লেখকদের ‘প্রথম বই প্রকাশের গল্প’ পড়েই। এই বইটিতে যে কয়জন বরেণ্য ব্যক্তিদের প্রথম বই প্রকাশের গল্পগুলো এসেছে তাঁরা এখনকার প্রজন্মের কাছে জ্বলে থাকা এক একটি নক্ষত্র। বইটিতে যেমনটি আছে ১৯৩৫ সালে জন্ম নেওয়া রাবেয়া খাতুনের গল্প, তার পাশাপাশি আছে ১৯৬৪ সালে জন্ম নেয়া নাসরিন জাহানের গল্প। অন্য সব বরেণ্য ব্যক্তিগণ এর মাঝেই জন্মনেয়া। এখানকার অনেকের প্রথম বই প্রকাশিত হয়েছে ’৭০ এর আগে। বর্তমান প্রজন্ম বই বের করার জন্যে কি করছে আর না করছে, কি লিখছে আর না লিখছে, তাই দিয়েই বই বের করার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠছে। বই পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি পাবে না তাও দেখার সময় নেই তাদের, এই বইটি পড়লে এই প্রজন্মের লেখকরা ধৈর্য ধরার মন্ত্র শিখবে, শিখবে কি ভাবে বই বের করার পরিকল্পনা করতে হয়। আমি মনে করি এই বই সকলের পড়া খুবই প্রয়োজন।
বইতো অনেকেই প্রকাশ করে, তবে এমন একটি বই বের করার জন্যে মুহাম্মদ মহিউদ্দিন কৃতিত্বের অধিকারী। রাবেয়া খাতুনের প্রথম বই প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে, ‘মধুমতি’ নামে উপন্যাস। এখনকার লেখকগণ বই বের করার পর সিনিয়রদের পেছনে ছুটে বই উপহারে দেয়ার নাম করে বইয়ের আলোচনা চায়। কিন্তু সেই সময়ে তা হতো না, রাবেয়া খাতুনের ‘মধুমতি’ বই পড়ে অনেকেই প্রশংসা করেছেন, সবার কথা মনে না থাকলেও তিনি কবি মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ও শিশুসাহিত্যিক আতাউর রহমানের নাম উল্লেখ করেছেন।
১৯৬৩ সালে ‘লোক লোকান্তর’ নামে প্রকাশিত হয় আল মাহমুদের প্রথম বই কাব্যগ্রন্থ। প্রচ্ছদ করেছিলেন কাইয়ূম চৌধুরী। লেখক, শিল্পী ও শুভানুধ্যায়ীরা চাঁদা তুলে বইটির প্রাথমিক পুঁজির যোগান দেয়, তা,অকপটে বলেছেন আল মাহমুদ। এই বইটি প্রকাশের পেছনে যেমন ছিল অনেকের অবদান, ঠিক সে ভাবেই ছিল অনেকের প্রশংসার ঝুলি। কবি আসাদ চৌধুরী, হাসান হাফিজুর রহমান, কাইয়ূম চৌধুরী, হাশেম খান,শামসুর রহমান,রফিক আজাদ, বেলাল চৌধুরী সহ অনেকেই ছিলেন আল মাহমুদের পাশে সে দিন। তখন অনেকে মিলে কারো বই বের করে দিলেও এখনকার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লেখকরা যৌথভাবে কাজ করলে বিশাল ইমারত গড়ে তুলতে পারেন। কিন্তু তাদের এক করবে কে? হয়তো বাংলাদেশের কবি সাহিত্যিক শিল্পীরা একই আছেন। ঐক্যবদ্ধ আছেন। সত্যি তাই? আমি জীবনের গোধূলী বেলায় বেডরুমের এক কোণে শুয়ে তা কি ভাবে বলব!
মায়ের দেয়া টিফিনের টাকায় খাম কিনে লুকিয়ে কবিতা লিখে পাঠাতেন, শিক্ষকদের চাপে পড়ে কলেজ জীবনে প্রথম সাহিত্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, তাও আবার ৭ বিষয়ে। এটাই সত্যি যে তিনি ৬ বিষয়ে প্রথম ও এক বিষয়ে ৩য় স্থান অধিকার করার পর মনস্থির করেন কবিতা নয় তিনি গল্পই লিখবেন। শুরু হয় গল্প লেখা। সাহিত্যের ছাত্রী হয়ে গল্প লিখছেন, পত্রিকা ম্যাগাজিন এ প্রকাশিতও হচ্ছে। লেখাপড়া শেষ করে চাকরী খুঁজছেন। শিক্ষক আবদুল হাফিজ পরামর্শ দেন প্রকাশিত গল্প দিয়ে বই করতে, বই থাকলে চাকরীর জন্যে সিভি জমা দিতে বইয়ের কথা উল্লেখ থাকলে চাকরী পেতে সুবিধা হবে। হয়েছেও তাই। সেই প্রথম বই প্রকাশের গল্পটি হলো কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের। বইটির সমালোচনা লিখেছিলেন ঔপন্যাসিক হুমায়ুন আজাদ। ১৯৬৯ সালে ‘উৎস থেকে নিরন্তর’ নামে গল্পগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। তিনি বলেন, ‘আমার গল্পগ্রন্থ’ উৎস থেকে নিরন্তর প্রকাশের সাতচল্লিশ বছর পার হয়েছে। যে স্মৃতি আমাকে অহরহ পীড়া দেয় তা আমার বই প্রকাশের ঘটনা। এই বইয়ের প্রসঙ্গ উঠলেই মনে হয় আমি লেখক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হব একদিন, এমন চিন্তা থেকে প্রথম বইটি প্রকাশ করিনি। ভবিষ্যতে লেখক হতে পারব এমন ধারণা তখন দুঃসাহসেরও বেশি ছিল। একটি চাকরি পাওয়ার বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয়েছিল। ”
বাবাকে নিজের পকেটের টাকায় বই বের করতে দেখেছেন তাই মোহীত উল আলম এটা করবেন না। এমনটাই ভেবে চলেছেন তিনি। বন্ধুদের ইচ্ছাশক্তিতেই প্রথম বই প্রকাশ পায়। বইটি উৎসর্গ তে লিখেছেন, ‘বন্ধু মোরশেদ শফিউল হাসানকে… পাপ যাকে স্পর্শ করেনি’ বন্ধুর অনুমতি না নিয়ে উৎসর্গ করা আর এমন কথা লেখায় বন্ধু তাকে চার পৃষ্ঠার অভিযোগ পত্র পাঠায়, যার শেষে লেখা থাকে, ‘আমি কি অপাপবিদ্ধ! আমি কি শিশু!’
১৯৯৮ সালে “স্বপ্নযাত্রা কিংবা উদ্বাস্তুপুরাণ” নামে প্রথম গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয় জাকির তালুকদারের। বাংলাভাষায় মুসলিম মিথকে ব্যবহার করে প্রথম পূর্ণাঙ্গ রচনা লিখেছেন তিনি। ‘সোলায়মান পয়গম্বরের দেয়াল’ এবং ‘স্বপ্নযাত্রা কিংবা উদ্বাস্তুপুরাণ’ নামে গল্প দুটিতে ব্যবহৃত হয়েছিল মুসলিম মিথ। যেখানেই ছিল জাকির তালুকদারের সার্থক প্রচেষ্টা। বোদ্ধামহলের অনেকেই তার এই বই পড়ে সমালোচনা করে বলেছেন,, এই লেখক যে সাহিত্যের জগতে টিকে থাকার জন্যেই এসেছে, তা অন্তত মুখফুটে প্রকাশ করা যায়। বইমেলার বিভিন্ন স্টলে রাখা হয়েছিল বইটি। বইটির সমালোচনা লিখেন অনেকেই।
নাটকের বই দিয়েই বই প্রকাশের গল্প শুরু হয় রফিক আনোয়ারের। ১৯৬৩ সালে ‘দশচক্র’ নামে তাঁর বই আসে, বই প্রকাশের নেশা তাকে আঁকড়ে ধরে। যার জন্যে শিক্ষকতার পেশা ও তাকে ছাড়তে হয়। কিন্তু সেই নাটকের পাণ্ডুলিপি আইয়ুব শাহী কতৃক নিষিদ্ধ ও বাজেয়াপ্ত হয়, এই জন্যে রফিক আনোয়ারের উপর হুলিয়া থাকায় নাটকটি ছাপানোর ঝুঁকি তিনি আর নেন নি। তবে সংরক্ষণের জন্যে টাইপ করে তিনটি কপি করে নিজের কাছে রেখে দেন। যা এখনো তিনি বক্ষের ধনের মতো আগলে আছেন। এরপর ” মহাকালের পদধ্বনি ” নামে নাটকের বই বের করার ইচ্ছে করেন, তাও গড়াতে গড়াতে ১৯৭০ সালে নাটকটি প্রকাশিত হয়। কিন্তু তিনি ” দশচক্র ” কেই প্রথম বই মনে করে।
বইকে নিজের সন্তানের সাথে তুলনা করেছেন হাসান আজিজুল হক। তাঁর প্রথম বইটি ছিল ‘সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য’ নামের গল্পগ্রন্থ। এই মুহুর্তে যেসব তরুণ লেখকদের বই বের হচ্ছে তারা কি জানে ৬৩/৬৪ সালের ঢাকার কথা। প্রথম বই প্রকাশের গল্প লিখতে গিয়ে হাসান আজিজুল হক লিখেছেন,,, এলিফ্যান্ড রোড থেকে সাইকেলে কয়েক মিনিটে নিউমার্কেট চলে যাওয়া যেত। বড় ভাইয়ের বাসা থেকে বেরিয়ে নিউমার্কেট যাওয়ার পথের দু’পাশে ছিল ধানী জমি। মাঝে মাঝে দু-একটা বাড়ি। বর্ষাকাল, ধার রোপণ করা হয়েছে। ধানী জমির ব্যাঙগুলো গুরগুর শব্দ করে লাফিয়ে পড়ছে। আমি যাচ্ছি নিউমার্কেটে। ৬০ থেকে ৬৪ সালের মধ্যে লেখা ছিল গল্পগুলো, পত্রিকায় প্রকাশিত গল্প গুলোকে বই আকারে করার প্রস্তাব দেয় নজরুল একাডেমির প্রধান রফিকুল ইসলাম। সেই লেখাগুলো যখন বই আকারে বের হয়, বই দেখে হাসান আজিজুল হকের মনে হয়েছে প্রথম সন্তানের মুখ দেখছেন।
১৯৮৬ সালে বাংলাদেশে প্রথম নন্দনতত্বের উপর প্রকাশিত হয় সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি তাঁর এই প্রথম বই প্রকাশের গল্প লিখতে গিয়ে লিখেন, বই প্রকাশের বিষয়টি অনেকটাই মেয়ের বিয়ের মতো। খুব ভালোভাবে সমাধান হয়ে গেলে বাবা খুব তৃপ্তি নিয়ে বলল এমনটিতো হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সামান্য ত্রুটি -বিচ্যুতি, বরপক্ষের একটি অনুযোগ বা অভিযোগ অনেক বড় হয়ে বাঁধে। মনে হয় যেনো সব আনন্দ ছাপিয়ে অভিযোগটিই রয়ে গেলো। ” বইটি প্রথম প্রকাশ করে বাংলা একাডেমি, এর পর ‘সন্দেশ’ নামে একটা প্রকাশন। ২০১৬ সালে আবার কথা প্রকাশ’ বের করলে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম প্রকাশকের কাছে শর্ত দিয়ে বলেন, বইয়ের দাম কম রাখতে হবে। প্রয়োজনে আমাকে রিয়েলিটি দিতে হবে না। এমন কথা কয়জন বলতে পারেন। এই গল্পকার, সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক এর প্রথম বইয়ের প্রথম সাক্ষর যিনি নেন তিনি এখন আর বেঁচে নেই। তবে তিনি ছিলেন তখনকার বিখ্যাত একজন কবি। তা জানতে হলে পড়তে হবে বরেণ্য লেখকদের ” প্রথম বই প্রকাশের গল্প”। আসলে তারাই ছিলেন অনেক বড় মনের। এখন তো এটা দেখাই যায়না।
পাঠ্যপুস্তক যতো পড়েছি আমি তার চেয়ে অনেক বেশি পড়েছি সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ে বইপত্র ও পত্রপত্রিকা। সব দেখেশুনে নিশ্চিত হয়েছিলাম যে, কাজ হিসাবে প্রবন্ধের মধ্য থেকে কয়েকটিকে বাছাই করে নিয়ে বের হয়েছিল আমার প্রথম বই ‘অণ্বেষণ’। হ্যাঁ তিনি লেখক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। প্রবন্ধের বইটির প্রচ্ছদ করেছিলেন কাইয়ুম চৌধুরী। এই প্রিয় মানুষটির সেই গল্পটা ও আছে এই বইতে।
দুজনেই শিক্ষক, সহকর্মী তাহমিনা আক্তার নূর ছাত্রীদের ডেড হর্সেস বলে বকাঝকা করতেন। উনার কাছে তা ভালো লাগেনি বলে সহকর্মীককে বলেছেন, ‘ ম্যাডাম,ছাত্রীদের ও-রকম গালাগাল না করলেও পারেন। ম্যাডাম খেপে গিয়ে তাকে জাইল্যার পোলা বলে তিরস্কার করে। এই তিরস্কার শুনেই নিজেকে তৈরি করেন লেখক হিসাবে। দেখিয়ে দেন জাইল্যার পোলাও লেখক হতে পারে, হয়তো ভাবছেন কার কথা বলছি। তা আমি নয়, সেই গল্পটি জানতে হলেই বইটি পড়ুন, জানুন। অনেক গল্প, সত্যিকারের গল্প, নিজেকে তৈরি করার গল্প। তাঁর প্রথম বই ছিল উপন্যাস, উপন্যাসের প্রথম লাইনটি ছিল, ‘উথালপাতাল বঙ্গোপসাগরের দিকে তাকিয়ে আছে উনিশ বছরের ভুবনেশ্বরী। বইটিতে অনেক গালাগাল আছে বলেও অনেকে ভিন্ন ভাবে সমালোচনা করেছেন।
প্রথম বইয়ের মুখ দেখার জন্যে প্লেনে ছুটে আসেন, মেলায় গিয়ে বই হাতেও নেন কিন্তু পরক্ষণেই তা ছুড়ে ফেলেন। এও কি হতে পারে, নিশ্চয়ই হয়েছে। একজন লেখক কতটা কষ্ট পেলে এমনটি করেন, তা নিয়েও একটি গল্প আছে বইয়ের শেষ দিকে।
কখনো কখনো লেখককে অনেক বুদ্ধি করে কাজ করতেই হয়। কোন কবির বিখ্যাত কবিতার লাইন ‘তুই কি আমার দুঃখ হবি’ পড়ে আর চিঠিতে লিখে অনেকের প্রেম হয়েছে। এমন খবর অজানা থাকে কি করে। ক্যাম্পাসের বড় বড় দলের সাথে প্রতিযোগিতা করতে বেঁচে নেন কবিতা, নিজের কবিতা দিয়ে বোর্ড ব্যানার বানিয়ে ছড়িয়ে দেন ক্যাম্পাসে। মেয়েদের হলে গিয়ে বক্তৃতা দেয়ার জায়গায় প্রিয় কবিদের হিট কবিতার লাইন শুনিয়েই বাজিমাত করেন। যার ফলে মেয়েদের হলে ১৫৮ টা ভোটের মাঝে তাঁর বাক্সে পড়ে ১৫০ টা। সেই বুদ্ধিমান ব্যক্তিটি হলেন কবি, লেখক, নাট্যকার ও সাংবাদিক আনিসুল হক, বাকি গল্প আছে সম্পাদক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন এর বই বরেণ্য লেখকদের ‘প্রথম বই প্রকাশের গল্প’ নামের বইটিতে।
বইটিতে আরো যাদের গল্প রয়েছে তারা হলেন, হাসনাত আব্দুল হাই, রিজিয়া রহমান, সালেহা চৌধুরী, সাযযাদ কাদির, রফিকুর রশীদ, ফারুক মঈনউদ্দীন, খন্দকার মাহমুদুল হাসান ও মুহম্মদ মহিউদ্দিন এর। সম্পাদক মুহম্মদ মহিউদ্দিন তার প্রথম উপন্যাস ‘নিশাচর আবেদ আলী’, লিখেই পেয়ে যান প্রথম জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার।
এই বই প্রকাশের গল্পগুলো আমাদের প্রত্যেকের জানা দরকার, পড়া দরকার, তাহলে পাঠক হিসাবে অনেক কিছু জানার সাথে সাথে বই প্রকাশের অভিজ্ঞতা ও পথপ্রদর্শন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যাবে।