প্রিথি (সায়েন্স ফিকশন)

সামনে অবারিত খোলা আকাশ। নিচে গাছের ডাল আর পাতার আগায় তৈরি হওয়া বিস্তৃত সবুজ প্রান্তর। এ এক অন্য রকম দৃশ্য। কিন্তু সেই দৃশ্য টানছে না এই মানুষটাকে। কখনও বা সেদিকে চোখ যাচ্ছে কখনও বা নিচের দিকেÑ কখনও বা মোজে আসছে চোখ। আবার কখনও একেবারেই ভাবলেশহীন।
তবে চেহারায় একটা দৃঢ়তা আছে। মনোবলটাও বেশ যে শক্ত তা মুখের দিকে তাকালে অনুমান করা যায়। গলায় ফাঁসির দড়ি। হাত পেছনে বাঁধা। পায়ের নিচে দশ-বারোটি ইট। ইটের মিনারের উপর কোন রকমে তার দেহ টিকে আছে। শরীরের পুরো ভর এখন ওই ইটের উপরই। এগুলোর উপর দাঁড়িয়ে আছেন সম্ভবত ভয়ঙ্কর দুঃসাহসী মানবপ্রাণী! পায়ের নিচ থেকে কোন ভাবে সরে গেলেই শেষ। তার জীবনপ্রদীপ নিভে যাবে। এভাবে একটা মানুষ মৃত্যুর একদম কাছাকাছি থাকার পরও কিভাবে শক্ত-স্বাভাবিক থাকে সেটিই বড় মাপের বিষ্ময়!
কি সুন্দর চেহারা তার। শরীরের গঠনেও আভিজাত্য। তবে চেহারায় কঠিন ভাব লেগে আছে। নিচের দিকে মুখ ছিল। একসময় সামনের দিকে তাকালেন। সামনে মানেÑ সুদূর খোলা আকাশের দিকে। গাছের পাতা দিয়ে বিধাতার হাতে তৈরি চাদরের বিছানার উপর দিয়ে চোখ গেলো অনেক দূর। কিছুক্ষণ সেদিকে তাকিয়ে থাকলেন। তারপর হঠাৎ করে যেন হেসে উঠলেন তিনি। কি ভেবে হাসলেন? কিছুই বোঝা গেল না। অনেকক্ষণ হাসলেন তিনি।
আসলে তিনি আর কেউ নন। এমন পরিস্থিতির মাঝেও যে এভাবে স্বাভাবিক থাকতে পারে, এভাবে দুঃসাহসী হতে পারে- সে তো একজনই হবেন। ওমর ফারুক। হ্যাঁ, এই লোকটি ওমর ফারুক। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিখ্যাত বিজ্ঞানী, মহাকাশ বিজ্ঞানী ড. ওমর ফারুক। ভীন গ্রহীদের কাছে যিনি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মানবপ্রাণী।
বাকি তিনজনও আমাদের চেনা। অত্যন্ত পরিচিত মুখ আমাদের কাছে। ভীনগ্রহের সম্মানিত গেস্ট বিজ্ঞানী লিথম্বন ও তার দুই সহযোগী এ্যালিয়েন। যারা পৃথিবীতে এসেছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তি উপহার দিয়ে এই গ্রহবাসীর ভালোবাসায় সিক্ত হতে। তারা এতোটা ভালোবাসেন পৃথিবীকে, যার জন্য তাকে পৃথিবী না বলে আদর করে ডাকছেন প্রিথি।
সত্যি তারা পৃথিবীবাসীকে উপহার দিচ্ছেন তাদের সেরা প্রযুক্তি। তাদের কাছ থেকে পাচ্ছে প্রলয়ের ভয়ঙ্কর ভাইরাস। যার মাধ্যমে অচিরে অস্তিত্বের বিনাশী উৎসবে মেতে উঠবে। আরেকটি বড় উপহার হলো প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ। কত দুর্বল যে পৃথিবীর প্রযুক্তি তা বুঝিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তারা সফল হতে পেরেছেন। এই চ্যালেঞ্জ ওমর ফারুককে পৃথিবীর সব সিস্টেম থেকে আড়ালে রাখার। বোকা বানিয়ে দেয়া তাকে খুঁজে বের করার সকল প্রচেষ্ঠাকে।
ওমর ফারুক ফাঁসির মঞ্চে দণ্ডায়মান। তার অপরাধ, তিনি মাটি ও মানুষকে ভালোবাসেন। পৃথিবীর সুখ-দুঃখ তার জীবনের অংশ ভাবেন। পৃথিবীর শত্রুকে আপন করে নিতে পারেন না। এ অপরাধে ঠিক এই মুহূর্তে তাকে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়াতে হয়েছে।
অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে তার ফাঁসি কার্যকর হবে। এর জন্য আনুষ্ঠানিকতার কোন ফাঁক রাখা হয়নি। সম্ভবত আর কিছুক্ষণ তিনি এভাবে মুক্ত নিঃশ্বাস নিতে পারবেন। এই পৃথিবী দু’চোখ ভরে দেখতে পারবেন। তার আলো-বাতাসে থাকতে পারবেন। সম্ভবত আর তা কয়েক মিনিট। হাসতে চাইলে হাসতে পারেন। কাঁদলেও কাঁদতে পারেন। শেষ সুযোগ এখন তার সামনে। এরপর সব থেমে যাবে। সব আলো নিভে যাবে তার। সব গল্প স্থির হয়ে থাকবে। স্মৃতি হয়ে থাকবেন তিনি। শেষ শব্দটা শোনা যাবে তার গলার গোঙানী। কিন্তু এরপর? কি ঘটবে পৃথিবীর ভাগ্যে? জানবেন না শুধু ওমর ফারক।
‘লিথম্বন যা বলে তা প্রমাণ করে।’
তিনি পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন। ডানে বায়ে অন্য দু’জন দাঁড়িয়ে। এতোক্ষণ নীরব ছিলেন লিথম্বন। দেখছিলেন ওমর ফারুকের প্রতিক্রিয়া। তাকিয়েছিলেন তার দিকে। অপেক্ষা শেষ হলো তার। কথা বললেন গর্বের সঙ্গে। তাতে ফারুকের মাঝে কোন অভিব্যক্তি নেই। তার কথায় কর্ণপাতও করলেন না। সামনের অবারিত খোলা প্রান্তরের দিকে তাকিয়ে থাকলেন।
‘এবার আপনার অহংকারের পতন হবে। ধ্বংসের একেবারে অন্তিমে দাঁড়িয়ে আছেন আপনি। তবুও শেষ বারের মতো বলছি। আপনি মনে করতে পারেন আমাদের ভেতরে কোন দয়া-মায়া নেই। আছে মি. ওমর ফারুক। অনুগ্রহ করে আপনি নিজের জীবনটাকে একটু দয়া করুন। দেখবেন, আমরা আপনাকে করুণা করবো।’
কথাগুলো আসছে পেছন থেকে। তবুও ফারুক পেছনে তাকানোর চেষ্টা করলেন না। একবার নিচের দিকে চোখ নামালেন। কিন্তু কোন কথা বললেন না।
‘আপনি হয়তো ধারণা করতে পারছেন না, আপনার প্রিয়তমা স্ত্রী আপনার জন্য কিভাবে অস্থির হয়ে আছেন। একটা ছায়াছবি আপনাকে বিনোদনের জন্য পরিবেশন করেছিলাম। তাতে শুধু একদিনের কাহিনীই দেখেছেন। বাকি সময়গুলো দেখেননি। আমরা চাইনি যে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আপনি মারা যান। এর চেয়ে আর উত্তম কি মৃত্যু হতে পারে! যেখানে এখন দাঁড়িয়ে আছেন, মি. ফারুক।’
লিথম্বন একটু বিরতি দিলেন। বোঝার চেষ্টা করলেন ওমর ফারুকের প্রতিক্রিয়া। হ্যাঁ; প্রতিক্রিয়া হলো। হঠাৎ একটু নড়ে উঠলেন তিনি। লিথম্বন সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করলেন আবারও।
‘মি. ওমর ফারুক। এখনও সুযোগ আছে আমাদের সম্মানিত গেস্ট হিসেবে বরণ করে নিন। আপনাকে সম্মান জানাবো। বাড়িতে পৌঁছে দেবো। আনোয়ারা কিন্তু এখনও না খেয়ে আছেন। মনে করুন সে কথা, একটা মানুষ আপনার জন্য অভুক্ত। আর আপনি এখানে দাঁড়িয়ে সময় ক্ষেপণ করছেন।’
ভালোভাবে খেয়াল করলেন তার দিকে। কোন জবাব বা প্রতিক্রিয়া আসে কি না। এলো না। ওমর ফারুক নীরব থাকলেন।
‘মাত্র বিশ মিনিট সময়। দশ মিনিট অপেক্ষা করবো। এরপর সব সুযোগ শেষ হয়ে যাবে আপনার। আমাদের অনুরোধ গ্রহণ করবেন কি না সেটি বিবেচনার জন্য এই সময়টুকু পাবেন।’ তখন লিথম্বন ফারুকের সামনে এসে দাঁড়ালেন। ‘একটু ভেবে দেখুন, ওমর ফারুক। আমার কথাগুলো কি আপনার জন্য কল্যাণকর মনে হয়?’ বলে চেয়ে থাকলেন তার দিকে। মুখোমুখি হলেন তারা দু’জন। ‘হেঁ মি. ফারুক। ভেবে দেখুন। গভীরভাবে ভেবে দেখুন। আপনি কি চানÑ মৃত্যু, না জীবন। কোন শর্ত ছাড়া শুধু সৌজন্যতায় আপনার সাথে আমরা আন্তরিকতা দেখাতে প্রস্তুত। আপনি কি আমাদের সেই আন্তরিকতা গ্রহণ করবেন? করুণাপ্রার্থী হবেন?’
এবার কথা বললেন ওমর ফারুক। লিথম্বনের চোখে চোখ রেখে বললেন, ‘ধিক আপনার আন্তরিকতার। ধিক আপনার চরিত্রের। ধিক এই সব করুণার।’
‘তার মানে আপনি আপনার সিদ্ধান্তে অটল!’
ওমর ফারুক কিছু বললেন না। তাকিয়ে থাকলেন তার দিকে। চোখ সরালেন না। সেই চোখ দিয়ে যেন ঠিকরে আগুন বেরুচ্ছে। লিথম্বনের পা থেকে মাথা পর্যন্ত আরেকবার দেখে নিলেন তিনি।
‘ধন্যবাদ মি. ফারুক। আপনাকে সম্মান দেখানোর বিষয়ে প্রক্রিয়াগত দিক থেকে আমরা আর কোন ফাঁক অবশিষ্ট রাখলাম না। আপনার প্রিথিভক্তি দেখে অভিভূত। এটি বিশ্ববাসী জানতে পারলে ভালো হতো। নিশ্চয় আপনাকে তারা পূজা করতো! গর্বে তাদের বুক ভরে উঠতো। কিন্তু সে সুযোগ হবে না। আফসোস শুধু এখানেই।’
‘সময় নষ্ট করছেন কেন?’
‘আপনাকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না মি. ফারুক। আপনার আত্মহুতির যে অনন্ত প্রার্থনা দেখছি, তাতে আপনার প্রশংসা করতে হয়। বলেন দেখি, এরকম আর কে আছে যে নিজের জীবন মানবতা আর মাটির জন্য উৎসর্গ করবে এভাবে?’
‘হা-হা-হা-হা।’ হাসলেন ওমর ফারুক। ‘মি. লিথম্বন। অবশেষে স্বীকার করলেন আমি মানবতা আর মাটির জন্য উৎসর্গিত হচ্ছি। আপনার উদ্দেশ্য প্রকাশ করে দিয়েছেন। কিন্তু দেরিতে। এটি জানতে পারলো না আমার পৃথিবীর কেউ।’
‘আর কেউ না বুঝলে আপনি যে বুঝেছেন, সেকথা আপনাকে আগেই বলেছিলাম। মনে আছে নিশ্চয়?’
‘আপনার কথা আমার অসহ্য লাগছে। একদম অসহ্য। আপনি কথা বন্ধ করুন।’
‘আগে নিশ্চয় এমনটা লাগেনি আপনার!’ হাসলেন লিথম্বন। তাকালেন সহযোগীদের দিকে।
ওমর ফারুক চোখ মোজে নিলেন। কোন কথা বললেন না। লিথম্বন তাকিয়ে আছেন তার দিকে। কিছুক্ষণ এভাবে তাকালেন তারা।
‘আর মাত্র দুই মিনিট আছে মি. ফারুক।’ না, একথা শুনেও চোখ মেললেন না ওমর ফারুক। ‘আচ্ছা, আপনার কি একবারও জানতে ইচ্ছে করলো না যে, আপনি কিভাবে লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে গেলেন? কেন আপনাকে প্রিথির কোন সিস্টেম ধরতে পারলো না? স্যাটেলাইট রাডারে আপনি কেন অদৃশ্য থেকে গেলেন? মন কি একবারও প্রশ্ন করলো না আপনাকে?’ চোখ তুলে তাকালেন ওমর ফারুক। সোজাসুজি দৃষ্টি ফেললেন লিথম্বনের ওপর। তিনি ডানে সরে এসে বললেন, ‘মনোযোগ দিয়ে শুনুন, আমি নিজ থেকে বলছি তাহলে। জীবনের শেষ মুহূর্তে একটা ধারণা নিয়ে যান আমাদের প্রযুক্তি সম্পর্কে। আপনাদের বিজ্ঞানীরা এমন কোন কিছু রাখেননি যেখানে আপনার সন্ধান করা হয়নি। সর্বত্র সার্চ করা হয়েছে। এমনকি ইথারের মাঝেও। অথচ দেখেন, কোথাও আপনি নেই। আপনার অস্থিত্ব নেই। কিন্তু আপনি এখনও প্রিথিতে আছেন। এখনও বেঁচে আছেন। তবে বিষ্ময়করভাবে সেটি লোকচক্ষুর অন্তরালে। কিভাবে সম্ভব হয়েছে জানেন?’ থামলেন একটু। অপলক তাকিয়ে আছেন ফারুক তার দিকে। আবার বললেন লিথম্বন, ‘আমরা যখন আপনাকে স্টেশন থেকে তুলে নিয়ে আসি, মনে আছে সেই মুহুর্তের কথা? মনে করে দেখুন একটু। মনে আছে সুগন্ধী? বাতাসের ধাক্কা লেগেছিল! হ্যাঁ, সেই সুগন্ধীই আপনার পুরো জেনেটিক প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনেছে। শুরুতে বায়োবিয় প্রক্রিয়ায় আপনার কানেকটিং অপারেটর কোষকে নিউরাল নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করে অকার্যকর করা হয়। শরীরের কোষ ও রক্তক্ষণিকা থেকে নিস্ক্রিয় করে দেয়া হয় একই মাধ্যমকে। ফলে সব ডিভাইস থেকে আপনি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। তখন থেকে সব ধরণের শক্তিশালী রাডার কিংবা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রণালী থেকে আপনি অজ্ঞাতে আছেন। যেভাবে ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপনারা উড়োজাহাজকে রাডার ও সব রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থার চোখকে ফাঁকি দিয়ে পুরোপুরি গায়েব করে রাখেন। এমন কি মানব চক্ষুর অন্তরালে রাখতে পারেন বছরের পর বছর। এই সিস্টেম যেমন উড়োজাহাজ বা আকাশ যান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রাডারের কার্যক্ষমতাকে বাধাগ্রস্থ করে, ঠিক তেমনি আমাদের সিস্টেম আপনার ক্ষেত্রে প্রিথির সব ডিভাইসকে বাধাগ্রস্থ করে লুকিয়ে রেখেছে।
তাই দেখুন আপনি অবিকল আছেন। কিন্তু তা সিগনালের বাইরে। আপনার অস্তিত্ব এখন পুরোপুরিভাবে সৌরজগত থেকে বিচ্ছিন্ন। এবার বুঝতে পেরেছেন? কেন আপনি এখনও এভাবে। নিশ্চয় ভেবেছিলেন এতোক্ষণে আপনার উপস্থিতি নিশ্চিত হয়ে প্রিথির যোদ্ধারা এখানে আসবে। আর আমাদের বোকা বানিয়ে আপনাকে উদ্ধার করে ছিনিয়ে নিয়ে যাবে? নিশ্চয় ভেবেছিলেন? আসলে তা না হলে সেটা একেবারে অসম্ভব ছিল না। কিন্তু কোথাও যে আপনার অস্থিত্ব ধরা পড়ছে না। কিভাবে জানবে আপনি আমাদের কাছে বন্দি? জানবে না।’
তাকিয়ে আছেন ওমর ফারুক তার দিকে। অবাক হচ্ছেন এসব শুনে। আসলে তাই তো। এতোক্ষণ পরেও কেন কোন সাড়া-শব্দ এলো না পৃথিবীর কোথাও থেকে। তা এখন বুঝতে পারছেন। তার তো লোকানোর সুযোগ নেই। যেখানে থাকেন না কেন সেন্ট্রাল নেটওয়ার্ক তাকে ঠিক আবিষ্কার করবে। এই ব্যবস্থা তার নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কি লাভ হলো? সিকিউরিটি সিস্টেমে তো ধরা পড়লো না প্রকৃত সময়ে। তাহলে এই চ্যালেঞ্জে কি হেরে গেলো পৃথিবীর বিজ্ঞান! প্রণালীতে আরও উন্নতি প্রয়োজন। তা কি হবে কখনও? নাকি এদের হাতে পৃথিবীর ভাগ্য হবে আরেক ট্রনিকটন?
আর ভাবতে পারলেন না। ‘আপনাকে দেয়া দশ মিনিট সময় এই মাত্র শেষ হয়ে গেলো।’ লিথম্বনের কথা শুনে আঁৎকে উঠলেন। এই প্রথম ভয় পেলেন ওমর ফারুক। তাকালেন তার দিকে। ‘আমরা এখন দূরে সরে যাবো। আপনার কি আর কিছু বলার আছে? কোন প্রার্থনা করবেন?’
তার দিকে চোখ রেখে আস্তে করে বললেন, ‘একটা প্রার্থনা…’
‘হেঁ বলুন, আমরা শুনতে আগ্রহী।’
‘লিথম্বন, আমি পৃথিবীর মঙ্গল চাই। ধ্বংস চাই না।’ লিথম্বন তার কথা শুনে ভ্রু কুচকালেন। আগ্রহ নিয়ে শুনলেন কথা। ‘জীবন চাই। আমি এক বিজ্ঞানীকে হত্যা করে আপনারা আমার প্রিয় পৃথিবীটাকে বাঁচাবেন। পৃথিবীর মানুষগুলোকে বাঁচতে দেবেন। প্রয়োগ করা ভাইরাসের কার্যক্ষমতা নিস্ক্রিয় করে দেবেন। সেই প্রার্থনা আমার। এর বাইরে আর কোন প্রার্থনা নেই।’ বলে থামলেন তিনি।
(চলবে)

পরবর্তী সংখ্যা পড়ুন এখান থেকে

Comments

comments

About

Check Also

মুবাহাসা (২য় পর্ব)

(পূর্ব প্রকাশের পর)মুসাল্লা উঠিয়ে নাওইমাম আযম আবু হানিফা র.-এর আদত মুবারক ছিল যখন তিনি শাগরিদকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *