ধূম্রদের অভিযান

গত সংখ্যার পর
ধূম্রের খাদ্যটিম এসে সাজ্জাদের ক্ষুধা-পিপাসা মিটিয়ে সবল করে তুলল। তার হাতের বাঁধন রঞ্জন রশ্মি ক্রোপসের মাধ্যমে জ্বালিয়ে ভস্ম করে মুক্ত করল। সাজ্জাদ সোজা হয়ে বসে স্বীয় শরীরের শক্তি পরখ করতে উঠে দাঁড়াল। উভয় হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বুকের দিকে টেনে এনে পরীক্ষা করল। সে অনুভব করল আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী লাগছে নিজেকে। সে একটা পরিকল্পনা মনে মনে আঁটতে লাগল।
পরিকল্পনাটি হলো-সে নিঃসাড় হয়ে পড়ে থাকবে ফ্লোরে। অধ্যাপক আবু সালেহ কাছে এসে কিছু জিজ্ঞেস করলে দুর্বল দৃষ্টিতে তাকাবে তার দিকে। আমার আর সহ্য হচ্ছে না। আমাকে একটু ধরে তুলে বসান। অতঃপর যখনই তিনি বসাবেন ঠিক তখনই তার উপর ঝাপিয়ে পড়ব। তার যেকোনো একগালে এমন জোরে কামড় বসাবে যাতে গাল ছিড়ে মাংসের টুকরো মুখেই আটকে থাকে। তারপর যা করার ধূম্ররাই করবে। সাজ্জাদ ভাবনায় যখন ডুবছে তখনই দরজায় একটা ক্যাচ ক্যাচ ধাতব্য শব্দ শুনা গেল। আবু সালেহ আসা যাওয়ার সময় এমন শব্দই সাজ্জাদ শুনেছিল।

৪র্থ পর্ব
রক্তে মেঝো ভেসে যাচ্ছে। জ্ঞান ফিরে এলে অধ্যাপক আবু সালেহ ভয়ে কুঁকড়ে গেলেন। তার নিঃশ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আসছে। শরীর-জামা রক্তে একাকার। বাম গালে ও কানে প্রচণ্ড ব্যথা করছে। ছোট্ট কক্ষটিতে ঘুটঘুটে অন্ধকার। অনেক কষ্টে তিনি উঠে দাঁড়ালেন। অন্ধকার হাত দিয়ে লিফটে চড়লেন। কল করে এম্বুলেন্স এনে ক্লিনিকে ভর্তি হলেন। তার মুখের ক্ষতস্থান ওয়াশ করে প্ল্যাস্টিক সার্জারিতে ঢেকে দেয়া হলো। কিছুটা সুস্থ বোধ করলে বাসায় ফিরে এলেন তিনি। বাসায় ফিরে একটুও স্বস্থি পাচ্ছেন না। ড. আশরাফের ধূম্রবাহিনীর খবর আগেই পেয়েছেন। তার বার বার আশংকা হচ্ছে, এই বুঝি ধূম্রবাহিনী চলে এলো। ‘ধূম্র বাহিনী’ আতঙ্কে তিনি গা ঢাকা দিতে প্রবাসে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি দ্রুততার সাথে নিতে লাগলেন।
ড. আশরাফ স্বীয় ল্যাবরেটরিতে বসে ধূম্রদের আরও মানসম্মত করার পন্থা ভাবছেন। চেয়ারে আধশুয়া হয়ে বসায় মাঝে মধ্যে তার তন্দ্রাও আসছে। এমন সময় তাকে চমকে দিয়ে উপস্থিত হলো বিশাল আকৃতির এক জন্তু। জানতে চাইলেন-‘তুমি কে? কি চাও এখানে?’ বেশ শান্ত-শিষ্টভাবে প্রাণীটি বলল-‘আমি এলিয়েন। আপনাকে দেখতে আসলাম। আপনার অনেক নাম-ডাক শুনে লোভ সামলাতে পারিনি বলে চলে এসেছি।’ ড. আশরাফের দুই চোখ স্থির হয়ে আছে আগন্তুকের মুখের উপর।
টাওয়ারের ৫ম তলার এই কক্ষের বাইরে মাটিতে দাঁড়িয়ে আছে প্রাণীটি। কাঁচের দেয়ালের বৃহৎ জানালায় শুধু মুখমন্ডলই দেখা যাচ্ছে তার। তুমি কোন গ্রহের এলিয়েন? ড. আশরাফ জিজ্ঞেস করলেন। এলিয়েন ধীরে থেমে থেমে বলল-আমি আপনাদের গ্রহের এলিয়েন। তবে পৃথিবীর অভ্যন্তরে আমাদের বসবাস। এই স্থানের সন্ধান আজও কেউ পায়নি এবং কখনো পাবেও না। বুঝিনি তোমার কথা। গ্রহের অভ্যন্তরে আরও গ্রহ আছে নাকি? আশ্চর্যের সাথে জানতে চাইলেন ড. আশরাফ। প্রাণীটি যেন মৃদু হাসল। তার হাসির ভঙ্গি অদ্ভূত। মুখের গহ্বর পর্যন্ত দেখা গেলো। অসম্ভব টুকটুকে লাল সেই গহ্বর। মনে হচ্ছে গল গল করে রক্ত বেরুচ্ছে। আর জিহ্বাটি বেশ পুরো ও লম্বা। তবে কুচকুচে কালো রঙের।
এ মূহূর্তে ড. আশরাফের অজান্তে মনে তাগিদ হলো তাদের খাদ্য সামগ্রী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার। তাই তিনি বললেন-‘আচ্ছা তোমরা কি খেয়ে বেঁচে থাক?’
এলিয়েন সোৎসাহে উত্তর দিলো-‘আমাদের প্রিয় খাদ্য সাপের গোশত। অজগর সাপ থেকেও বৃহৎ আকারের এক প্রকার সাপ আমরা সবাই চাষ করি। আমরা সংখ্যায় অনেক বেশি। এই যেমন, পৃথিবীতে যতো মানুষ বসবাস করছে তার থেকে ২৭ গুণ বেশি সংখ্যায় সব সময় আমরা থাকি।’ ড. আশরাফ শুধু আশ্চর্য হলেন না বরং ভেতরে ভেতরে খুব ভয়ও পেলেন। এই সব প্রাণী কোনোভাবে যদি পৃথিবীতে এসে যায় তবে বড় করুণ অবস্থা হবে পৃথিবীর। নিজেকে অবিচলিত রেখে জিজ্ঞেস করলেন-‘আচ্ছা এলিয়েন, তুমি পৃথিবীতে আসলে কিভাবে?’ প্রাণীটি আবারও যেন হাসল। বলল-‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল দিয়ে।’
অপরিচিত প্রাণীটির সামনে ড. আশরাফ এমন ভাব-ভঙ্গি দেখালেন যেন পৃথিবীর সব চেয়ে বোকা মানুষ তিনি। আসলে এলিয়েনের কাছ থেকে তথ্য উপাত্ত জানতেই তার এই অভিনয়। তিনি বললেন-‘কি বলো হে? বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল কি কোনো মহাযান?’ ‘না না। মহাযান হতে যাবে কেন? এটা হলো আমাদের জন্য পৃথিবী গ্রহের প্রবেশ ফটক। এটা ছাড়া পৃথিবীতে আসার আর কোনো পথ আমরা এখনো আবিস্কার করতে পারিনি। আর একমাত্র আমি ছাড়া কোনো এলিয়েন পৃথিবীতে আসতেও পারেনি।’ এলিয়েন বলল।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের যতো না কৌতুহল তার চেয়ে অনেক বেশি কৌতূহলী সাধারণ মানুষ। অধিকাংশ বিজ্ঞানীর ধারণা, বারমুডায় ভীনগ্রহের প্রাণী বাস করে। সাধারণ মানুষ মনে করে দৈত্য দানবের আদি নিবাস ওটা। কেউ কেউ এর নাম দিয়েছেন ‘শয়তানের ত্রিভূজ।’ আটলান্টিক মহাসাগরে এর অবস্থান। এর উপর দিয়ে বাণিজ্যিক বা ব্যক্তিগত জাহাজ ও উড়োজাহাজ আমেরিকা, ইউরোপ এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে যাতায়াত করে। ১৪৯২ সালে নাকি বারমুডার দিগন্তে অসংখ্য অলৌকিক আলোর নাচানাচি দেখা গেছে। আর সব সময় আকাশে কুয়াশার মতো ধোঁয়া থাকতো। এখানে পৌঁছলে জাহাজের দিক নির্দেশক কম্পাসে উলট-পালট কাণ্ড ঘটতো।
এলিয়েন বলল-‘শুনেন বিজ্ঞানী। আপনি একজন সভ্য আদর্শের মানুষ। তাই আপনার কাছে সত্য কথাটাই বলছি। বারমুডা অঞ্চলের সমুদ্র তলায় যতো জাহাজ ও উড়োজাহাজ আমরা আটকে রেখেছি তা পৃথিবীর বৃহৎ সমুদ্রবন্দর এবং বিশাল উড়োজাহাজ বন্দরকে হার মানাবে।’
‘তাই নাকি! এতো জাহাজ ও উড়োজাহাজ তোমরা আটকালে কিভাবে?’ ড. আশরাফের প্রশ্নে এলিয়েন বেশ শব্দ করে হাসল।’ তার হাসির শব্দগুলো সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ফাটা সাইলেঞ্চারের ঘট ঘটের মতো বিকট শুনালো। খানিকক্ষণ হেসে বলল-‘বারমুডার উপর দিয়ে বা গা ঘেঁষে যতো জাহাজ ও উড়োজাহাজ যায় সে সব যানকে বিশেষ কৌশলে আমরা আটক করে ফেলি। আমরা সেখানে এমন এক জাল তৈরী করে রেখেছি যা সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় যানগুলোকে সমুদ্র তলদেশে নিয়ে যায়।’
ড. আশরাফ এলিয়েনের এসব কথা এক কানে শুনে অন্য কানে দিয়ে উড়িয়ে দিলেন। কিছুতেই তার বিশ্বাস হতে চায় না যে, মানুষ জাতির চেয়ে বেশি শক্তিশালী ও বুদ্ধিমান প্রাণী আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। তার একমাত্র যুক্তি হলো-সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ প্রাণী একমাত্র মানুষ জাতিই। তবু এলিয়েন দাবীদার অদ্ভুত প্রাণীটির সাথে কোনো ধরণের যুক্তিতর্কে তিনি গেলেন না। শুধু বললেন-‘তোমার কথাগুলো আমার পুরোপুরি বিশ্বাস হচ্ছে না। কেমন যেন রং মাখানো গল্পের মতো লাগছে।’
এলিয়েন বলল-‘তাহলে আমার চোখের দিকে কিছু সময় তাকিয়ে থাকেন বিজ্ঞানী। আমাদের গ্রহের একটি ছোট্ট ভিডিওচিত্র আপনাকে দেখাতে চাই।’ ড. আশরাফ এলিয়েনের কথায় সায় দিয়ে নিঃশব্দে তার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। তিনি দেখলেন, এলিয়েনের চোখ দু’টি রাবারের মতো স্ফীত হতে হতে একটি অন্যটির সাথে মিশে ৪৮ বর্গইঞ্চির একটি মনিটরে পরিণত হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পরই এই মনিটরে যে দৃশ্যগুলো তিনি দেখলেন তাতে তার পিলে চমকে উঠল। তিনি প্রায় অপ্রকৃতিস্থ হয়ে গেলেন।
ভিডিও ক্লিপটি ভয়ঙ্কর। সঠিকভাবে বর্ণনা করাও দুঃসাধ্য। সংক্ষেপে এভাবে বলা যায়-‘পাখির ঝাকের মতো অগুণতি উড়োজাহাজ উড়ছে সমুদ্রের নীল পানির ভেতর। ঠিক ততোধিক বড় বড় জাহাজ সমুদ্রের তলায় মাটিতে হাঁটছে চাকা লাগানো লরির মতো। একটি শৃঙ্খলায় এগুলো গতিশীল বলে কেউ কাউকে ধাক্কা দিচ্ছে না। বিশাল আকৃতির দু’পায়ী অদ্ভূত প্রাণীগুলো এসব নিয়ে আনন্দে লাফালাফি করছে। যেন খেলনা গাড়ি নিয়ে তারা উৎসবে নেমেছে।’ পরের দৃশ্যটি সাপের খামার। দেখার সাথে সাথে গায়ে কাটা দিয়ে উঠে ড. আশরাফের। ‘অসংখ্য বৃহৎাকার ডাইনোসর আকৃতির হাজার হাজার সাপ মাথা বের করে ফুস ফুস করছে। সাপগুলো হা করে ধারালো জিহ্বা বের করছে আর ভেতরে নিচ্ছে। কিছু পর পর মানুষরূপী অচেনা জ্যান্ত প্রাণী ছুড়ে দেয়া হচ্ছে সাপের মুখে। যার মুখের ভেতর গিয়ে পড়ছে সে এক গ্রাসেই তা পেটে ঢুকাচ্ছে।’ এরপর দেখা গেল এলিয়েনদের নিত্য নৈমিত্তিক কিছু কাজ। এর একটি ছিল এরূপ। ‘অনেকটা ইস্টার্ন গেরিলা আকৃতির প্রাণীগুলো অনবরত সীসাঢালা, আকাশ ছোঁয়া উঁচু একটা প্রাচীর কখনো সর্বশক্তি প্রয়োগে ধাক্কাচ্ছে আবার কখনো জিহ্বা দিয়ে চাটছে। তাদের ভাবভঙ্গি দেখে মনে হবে, বন্দিখানা থেকে বের হয়ে পৃথিবী নামক গ্রহে আসতে তারা হন্যে হয়ে উঠেছে। এরা ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত হলেই সাপের খামারে গিয়ে কোথা থেকে একটি সাপ দু’আঙ্গুলে চিলের মতো ছুঁ মেরে তুলে আনছে। তারপর সমুদ্রের কিনারে পাহাড়ের চূড়ায় বসে আয়েশ করে কাঁচা সাপ খেয়ে ফেলছে। তারা যখন দল বেঁধে পানি পান করে তখন মনে হবে সমুদ্রটি বুঝি শুকিয়ে ফেলবে।’
তন্দ্রা ভেঙ্গে গেলো ড. আশরাফের। তার সমস্ত শরীর বেয়ে ঘাম বেরিয়ে জামা-কাপড় ভিজিয়ে ফেলেছে। শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম তার। তিনি হাঁপাচ্ছেন। চারদিকে বার বার তাকাচ্ছেন আর ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছেন। স্বপ্নে দেখা দৃশ্যগুলোর ভয়ে তার শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে। জোরে নিঃশ্বাস ফেলতেও এখন তার ভয় করছে। প্রায় অর্ধ ঘন্টা পর ড. আশরাফ স্থীর হলেন। এখন স্বপ্নের একটা বাস্তবসম্মত যুক্তি ও ফলাফল বের করতে দৃশ্যগুলোর বিশ্লেষণে মনোযোগ দিলেন তিনি।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল সম্পর্কে ড. আশরাফের সিদ্ধান্ত পূর্ব থেকেই স্পষ্ট। তিনি অন্যান্য বিজ্ঞানীদের মতো বারমুডাকে ঘিরে আলাদা কোনো রহস্য জোড়ে দিতে চান না। তার মতে, যেসব বিজ্ঞানী নিজেদেরকে জনসমক্ষে পরিচিত করতে আগ্রহী তারাই কেবল একটা রহস্য সৃষ্টি করে বারমুডার তথ্য উপস্থাপন করেন। এখানে না আছে ভূতের আস্তানা আর না আছে এলিয়েনের বসবাস। তিনি বারমুডা এলাকায় সংঘটিত সব ঘটনা বিশ্লেষণ করে জানতে পেরেছেন যে, খুব সাধারণভাবে অন্যান্য সাগর পথে যেভাবে জাহাজ বা উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছিল তার তুলনায় বারমুডায় খুব কমই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে পার্থক্য এটুকু যে, অন্য স্থানে দুর্ঘটনায় পতিত যানগুলোর ধ্বংসাবশেষ খোঁজে পাওয়া গেছে কিন্তু বারমুডায় একটিও ধ্বংসাবশেষ কখনো পাওয়া যায়নি। এরও একটা বৈজ্ঞানিক যুক্তি আছে। কারণ বারমুডা পৃথিবীর মেরুর এমন এক অবস্থানে অবস্থিত যার আবহাওয়া ও সমুদ্রস্রোত প্রবল গতিতে ঘূর্ণায়মান। আর মাঝে মাঝে মধ্যাকর্ষণ শক্তিও বিরূপ আচরণ করে।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল সম্পর্কে সম্প্রতি এক সংবাদ ড. আশরাফকে চমকে দিয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে, উক্ত সাগরের তলদেশে বেশ কিছু বড় বড় গর্ত রয়েছে। এই গর্ত বা আগ্নেয়গিরির মুখগুলোর ব্যাস ৩ হাজার ২৮০ ফুট ও গভীরতা ১৩১ ফুট আনুমানিক। থ্রিডি সিসমিক ইমেজিং পদ্ধতিতে এই গর্তগুলো শনাক্ত করা হয়েছে। তেলের খনি থেকে সৃষ্ট উচ্চ চাপের মিথেন গ্যাসের উদ্গীরণে এসব গর্তের সৃষ্টি হতে পারে। তাই মিথেনযুক্ত পানির কারণে জাহাজ ডুবে যায়। তাছাড়া বায়ুমণ্ডলেও বিশেষ পরিবর্তনের ফলে বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। অথবা এ অঞ্চলের সব ঘটনাগুলো নিছক দুর্ঘটনা। যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা চালকের অসাবধানতা। অথবা উক্ত ত্রিভুজের উপর দিয়ে মেক্সিকো উপসাগর থেকে উষ্ণ সমুদ্রস্রোত বয়ে গেছে তীব্র গতিতে। যা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী হতে পারে।
স্বপ্নের দুর্ভেদ্য রহস্যকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গালের আজগুবি সব রহস্যময় গবেষণার ফলাফলের সাথে একাকার করে স্মৃতি থেকে মুছার চেষ্টা করেন ড. আশরাফ। আর এলিয়েন বিষয়ক ঘটনাকে স্বীয় বিশ্বাস আকিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রাচীর দ্বারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা দুটি অত্যাচারী জাতি ইয়াজুজ ও মাজুজ বাহিনীকে চিন্তার কেন্দ্রে নিয়ে এলেন।
(৩য় পর্ব)

Comments

comments

About

Check Also

মুবাহাসা (২য় পর্ব)

(পূর্ব প্রকাশের পর)মুসাল্লা উঠিয়ে নাওইমাম আযম আবু হানিফা র.-এর আদত মুবারক ছিল যখন তিনি শাগরিদকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *