ধূম্রদের অভিযান

গত সংখ্যার পর
৩য় পর্ব
সাজ্জাদ একটুও ভীত হলো না। অদৃশ্য ধূম্রবাহিনী তার চারপাশে বুলেটপ্র“ফের মতো ছড়িয়ে আছে। অধ্যাপক আবু সালেহ পিস্তলের স্ট্রিগারে চাপ দেয়ার মুহূর্তে বিদ্যুৎ চলে গেলো। বিদ্যুৎ গেলেও শক্তিশালী আইপিএস রয়েছে সমস্ত ভবনে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইপিএস সক্রিয় হওয়ার কথা থাকলেও তার হলো না। সব কিছু যেন বিকল হয়ে গেছে। কক্ষজোড়ে বিদঘুটে অন্ধকার। আশ্চর্যে থ হয়ে রইলেন আবু সালেহ। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে কিছু ভাবার আগেই বিদ্যুৎ ফিরে এলো। হতভম্ভ অধ্যাপক আবু সালেহ তাৎক্ষণাৎ বললেন-তোমার ভাগ্য ভালো। ভেবেছিলাম মেরে ফেলবো। কিন্তু এখন মারবো না। কিছু না বলে এসো আমার সাথে। তিনি সাজ্জাদকে নিয়ে পাতাল লিফটে ঢুকলেন। তার পিস্তলের মুখ সাজ্জাদের মাথায় ঠেকানো।
লিফট নিচের দিকে নামতে লাগল। আন্ডারগ্রাউন্ডে এসে থামল লিফট। এটা কতো ফুট নিচে এসে থামল তা অনুমান করতে পারল না সাজ্জাদ। এখন থেকে এ রোমেই তুমি বন্দি থাকবে। পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই এ পাতাল থেকে তোমাকে উদ্ধার করতে আবু সালেহ বললেন। সাজ্জাদ এতোক্ষণ ধরে কোনো কথাই বলার সুযোগ পায়নি। এবার স্থিরকণ্ঠে বলল-আপনি আমার একটি কথাও এখনো শুনেননি। কিছু না শুনেই বন্দি করছেন। আমি এর আগেও একজনের বন্দিশালায় কাটিয়েছি। বন্দিদশা থেকে বের হয়েই আবার বন্দি হচ্ছি। অধ্যাপক আবু সালেহ ভ্রুকুঁচকে বললেন-তোমার সেই বন্দি দিনের ঘটনাগুলো সঠিকভাবে জানার জন্যই আমিও বন্দি করলাম। চালাকির চেষ্টা করো না সাজ্জাদ। এই পাতাল রোমে পৃথিবীর একটা পিঁপড়াও তোমার খোঁজ পাবে না। আর তুমিও কোনো প্রচেষ্টায় এখান থেকে বেরুতে পারবে না।
এই টাওয়ারে অসংখ্য বার এসেছে সাজ্জাদ। কিন্তু পাতালের এ বন্দিদশা সম্পর্কে সে কিছুই জানতে পারেনি। বন্দিখানা রোমটি দেখতে লিফটের মতোই ছোট। এখানে দিন রাতের পার্থক্য বুঝা যায় না। চার দেয়াল থেকে কুয়াশার মতো ঘোলাটে আলো ঠিকরে বেরুচ্ছে। তাপমাত্রা নাতিশীতোষ্ণ। আবু সালেহ একটি রশি দিয়ে সাজ্জাদের দুই হাত পিচমোড়া করে বেঁধে বললেন-এই বাঁধ ৩৬ ঘন্টা পর খুলে দেয়া হবে। এর আগে শরীর অচেতনের গ্যাস প্রয়োগে তোমাকে দুর্বল করা হবে। সাজ্জাদ দেখল আবু সালেহর মানসিক, প্রযুক্তিগত তথা সার্বিক শক্তির দৈন্যতা। কারণ, ড. আশরাফের বন্দিখানায় থাকতে তিনি তাকে বেঁধে রাখেননি। আরামে শুয়ার বিছানা এবং আরামদায়ক চেয়ার তার জন্য ছিল। কিন্তু এখানে অনাহারে দাঁড়িয়ে, হাতবাঁধা অবস্থায় কষ্টে সময় পোহানো ছাড়া উপায় নেই।
একটুও ভয় পাচ্ছে না সাজ্জাদ। আবু সালেহ যতোই পাতালপুরীর ভয় দেখান না কেন, সে মুক্তি পাবেই এটা তার বিশ্বাস। কেননা সে অনুভব করতে পারছে, ধূম্ররা তার সাথে অনুচরের মতোই রয়েছে। সমস্ত টাওয়ারের বিদ্যুৎ লাইন এবং আইপিএস বিকল করে দেয়া ধূম্রদের কাজ যে ছিল এটা সাজ্জাদ ভালোই বুঝেছে।
যে লিফটে সাজ্জাদকে নিয়ে এসেছিলেন সেই লিফটেই চলে গেলেন অধ্যাপক আবু সালেহ। আকস্মিক ঘটনার কথা ভাবছিল সাজ্জাদ। হঠাৎ তার কানে ড. আশরাফের কণ্ঠ ভেসে এলো। সে চমকে উঠল। এটা তার শুনার ভুল কি না ভাবার আগেই আবার শুনল সে-কি ভাবছো সাজ্জাদ? ভয় পাচ্ছ নাকি? ভয়ের কিছু নেই। পাতালে নিয়ে রাখলেও আমার গোচর থেকে কেউ তোমাকে আড়াল করতে পারবে না। তোমাকে আমি দেখতে পাচ্ছি এবং তোমার সাথে কথাও বলছি উন্নত প্রযুক্তির সুবাদে। ড. আশরাফের কথার মাঝে থামিয়ে সাজ্জাদ বলল-তাহলে আমি তা সত্যিই শুনছি স্যার? একদম বাস্তবে? হ্যাঁ সাজ্জাদ। তুমি এসব বাস্তবেই শুনতে পাচ্ছ। তোমার উভয় কানের সংবেদনশীল হাড়ে অতি সূক্ষ্ম দুটি মাইক্রোওয়েভ বল সংযুক্ত আছে। এর সাহায্যে তুমি কোথায় আছো, কত দূর যাচ্ছ তা আমাকে তথ্য দিচ্ছে। আর স্বাভাবিকভাবে সেলফোনে কথা বলার মতো যখন ইচ্ছে কথা বলাও সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া ধূম্রবাহিনী তোমার সহচর হিসেবেতো আছেই।
ড. আশরাফ কথাগুলো বলে সাজ্জাদকে আশ্বস্ত করলেন। আবার তিনি বললেন-কোনো ভয় পেয়ো না তুমি। তোমার কাজ একটাই, এ কথা স্মরণ রেখো। যে করেই হোক, যে ফন্দিতেই হোক আবু সালেহের ডিএনএ উপাদান সংগ্রহ করবে তুমি। তোমাকে উদ্ধার করা আমার দায়িত্ব।
ড. আশরাফের জ্ঞান, মেধা ও ক্ষমতার কথা ভেবে সাজ্জাদ পুলকিত হয়। আল্লাহ এতো গভীর জ্ঞানের মানুষ দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন দেখে সাজ্জাদ আশ্চর্য হয়। তার কাছে সবচেয়ে অবাকের বিষয় হচ্ছে-ধূম্র সৃষ্টির রহস্য। শুধু সাজ্জাদ নয়, যারা ড. আশরাফের ধূম্র সৃষ্টির কথা একটু আধটু জেনেছে তাদেরও আশ্চর্যের অন্ত নেই।
ড. আশরাফ ধূম্র সৃষ্টির ধারণা পেয়েছিলেন পবিত্র কোরআন ও হাদিসের ভেতর থেকে। মহা দার্শনিক ইমাম গাজ্জালী কোরআন ও হাদিস শরীফের আলোকে ফেরেশতা তৈরির চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন। বিজ্ঞানী ড. আশরাফ দেখেছেন টেস্ট-টিউবে জন্ম নেয়া ভেড়া ও বেবীর তথ্যটা তার নখদর্পে। সেই সূত্রধরে টেস্টটিউবে ধূম্রের আকৃতিতে ফেরেশতা বৈশিষ্ট্যের কিছু অণুজীব উদ্ভাবনের পথে হাঁটেন তিনি। ফেরেশতা এবং জ্বিনজাতি অদৃশ্য থাকেন। তাদের সহজে ধরা ছোয়া যেমন যায় না-তেমনি চর্মচোখে দেখাও অসম্ভব। কিন্তু এই জ্বিন ও ফেরেশতারা অনেক অসাধ্য কাজ সাধন করতে সক্ষম। জ্বিনজাতি মানুষ জাতির মতো স্বীয় প্রবৃত্তির কারণে দোষেগুণে জীবন নির্বাহ করলেও ফেরেশতারা সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। তারা স্বীয় সৃষ্টিকর্তার পুরোপুরি আজ্ঞাবহ থাকেন। তাই ফেরেশতা জাতির মর্যাদা সব থেকে আলাদা।
একজন ইসলামিক বিজ্ঞানী হওয়ায় ধূম্র সৃষ্টিকে ড. আশরাফ আল্লাহর মহা নেয়ামত হিসেবে স্বীকার করেন। বার বার আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে তার দরবারে মস্তক অবনত রাখেন। অন্য ধর্মের বা নাস্তিক বিজ্ঞানীরা কোরআন ও হাদীস থেকে তত্ত্ব-উপাত্ত্ব নিয়ে কিছু আবিস্কার করলেও কখনো মূল তত্ত্বের উৎসটি স্বীকার করে না দেখে ড. আশরাফ বেশ মর্মাহত হন। তার বিভিন্ন ধরণের আবিস্কার দেখে এবং স্বীয় প্রভুর প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধের বহিঃপ্রকাশের ধরণ পর্যবেক্ষণ করে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা তাকে গোপনে হিংসান। ড. আশরাফ এটা বুঝলেও মুচকি হেসে উড়িয়ে দেন। তিনি যেকোনো মহৎ কাজ করলে ঢাকঢোল পিটানোকে এড়িয়ে চলেন। আর পৃথিবীর মানুষের কোনো অনিষ্ট হয় এমন কোনো উদ্ভাবনের চিন্তাও করেন না তিনি।
ড. আবু সালেহ দু’মাস পরপর বিভিন্ন দেশে ভ্রমনে যান। যতো বারই গেছেন প্রথমে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে অন্যান্য দেশে গিয়ে আবার যুক্তরাষ্ট্র হয়ে দেশে ফেরেন। তার এই ভ্রমণ নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু যখন ড. আশরাফ তার ব্যাপারে খুঁজ নিচ্ছিলেন তখনই বিষয়টি দেখলেন এবং আশ্চর্য হলেন। একজন সাধারণ অধ্যাপকের এতো ঘন ঘন বিদেশ সফর বেশ রহস্যজনক। ড. আশরাফ সেই রহস্যের জট খুলতে চেষ্টা চালালেন। একটা গোপনীয় তথ্য জেনে বেশ ধাক্কা খেলেন। তা হলো-আবু সালেহের স্ত্রী, ২ কন্যা ও ৩ পুত্র সন্তান রয়েছেন। এরা সবাই ব্রিটেনের নাগরিক। আর আবু সালেহ বাংলাদেশের নাগরিক পরিচয় থাকলেও পাসপোর্টে লেখা-অবিবাহিত। অথচ গত বছর পাসপোর্টটি নবায়ন করা হয়েছিল। এতো বড় একটা মিথ্যার জগতে বসবাসের তথ্য জেনে ড. আশরাফ এই ব্যক্তিটি সম্পর্কে আরও উৎসুক হলেন।
ড. আশরাফ লিফটে চড়ে ছাদে উঠলেন। ছাদে অপেক্ষমান ব্যক্তিগত হ্যালিকপ্টারের সিটে বসে বিমানবন্দর অফিসে কল করলেন। কলের পরই আন্তর্জাতিক রোডের একটি বিমান প্রস্তুতি নিচ্ছে ড. আশরাফকে যুক্তরাষ্ট্র পৌছে দেয়ার জন্য। তিনি যে কোনো মুহূর্তে বিশ্বের যে কোনো দেশে যাতায়াত করতে পারেন। তার জন্য উম্মুক্ত ভিসা সম্পূর্ণ সেন্সরবিহীন করে রাখা। বিশ্বের যে ক’জন বিজ্ঞানী ‘শান্তি কমিটির স্টার’ নামক সংঘের স্থায়ী সদস্য তাদের মধ্যে ড. আশরাফ প্রথম সারিতে আছেন। এ সংঘভূক্ত বিজ্ঞানীগণ বিশ্বের প্রতিটি দেশে আলাদা মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। আবার কেউ ইচ্ছা করলেই সংঘের সদস্য হতে পারেন না। সদস্যভুক্ত বিশ্বস্থ বিজ্ঞানীরা বিশ্বের যে কোনো কার্যালয় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা, গোপনীয় বিষয় অবগত হওয়া এবং সংরক্ষিত স্থানে বা অফিসে অবাধে চলাচল করতে পারেন। বিশ্বের প্রতিটি দেশ এ বিজ্ঞানীদের বিশ্ব রক্ষার কর্ণধার মনে করে। তাদের কেউ কোনো দেশে ভ্রমণ করলে সে দেশের প্রশাসন বিভাগ গৌরববোধ করে এবং সামরিক বাহিনীকে নিরাপত্তাদানে বিশেষ বার্তা পাঠায়।
যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে ড. আশরাফের। অধ্যাপক আবু সালেহের ঘন ঘন ভ্রমনের রহস্য খুলে ফেলেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র এসে দু’এক দিন পরই ইসরাইল যেতেন আবু সালেহ। ইসরাইলের বিশেষ বাহিনীর সাথে করতেন গোপন বৈঠক। অর্থ সংগ্রহ করে জমা রাখতেন স্বীয় একাউন্টে। স্ত্রীর একাউন্ট থেকে দেশে আসতো আবু সালেহের গৃহকর্মীর একাউন্টে। গৃহকর্মীর একাউন্ট থেকে জাল স্বাক্ষরে টাকা তুলতেন আবু সালেহ। জঙ্গিবাহিনীর পেছনে এসব অর্থ ব্যয় করলেও তার অধিকাংশ অর্থ সংগ্রহের মাধ্যম বা ঢাল ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আবার ব্যয়ের ক্ষেত্রে সব টাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যয়ের খাত দেখিয়ে হিসেবের খাতা প্রস্তুত রাখা হতো। অনেক বছর থেকে এরূপ কর্মকাণ্ড চললেও দেশের গোয়েন্দা বিভাগ আজও কোনো তথ্য সরকারকে দিতে পারেনি। এতে তিনি বিচলিত হননি। কারণ শর্ষের মাঝেই ভূতের বসবাস দেখতে পেয়েছেন ড. আশরাফ।
দেশে ফিরেই সাজ্জাদকে কল করলেন ড. আশরাফ। সাজ্জাদ বন্দিরোমে বসে বসে ঝিমোচ্ছিল। হঠাৎ কানের কাছে ড. আশরাফের কণ্ঠ শুনে চোখ মেলল সে। সাজ্জাদ ঘুমাচ্ছ নাকি? কথা বলছ না কেন? সাজ্জাদ দুর্বল কন্ঠে বলল-জ্বি স্যার, একটু ঘুম এসে গিয়েছিল। শরীরটা খুব ক্লান্ত। কেন কিছু খাওয়া হয়নি নাকি? ড. আশরাফ বললেন। সাজ্জাদকে বন্দি করার ৪৮ ঘন্টা কেটে গেলেও কোনো খাবার দেয়া হয়নি। কয়েক ঘন্টা আগে অধ্যাপক আবু সালেহ এসে বলেছেন-আমাদের বন্দি আইনে তোমাকে কোনো খাবার দেয়া হবে না। টয়লেটে যেতে চাইলে ডান দিকের এই সুইচে চাপ দিলে দরজা খুলে যাবে। অনুরূপভাবে ভেতরের সুইচে চাপ দিয়ে বেরুবে। আর খাবার ও পানীয় না পেয়ে তুমি যখন নিঃসাড় হয়ে পড়বে তখন দেখবে গল ঘল করে সব সত্য কথা বলে ফেলছ। তাই এর আগে তোমাকে টর্চারিং করে কোনো কথা আদায় করতে যাব না। আর হ্যাঁ, মনে রেখো সাজ্জাদ-আমাদের পরবর্তী বন্দিসেলটি খুবই ভয়ঙ্কর। যদি না একটি মিথ্যা কথা বলো তা হলে কুকুর দিয়ে তোমাকে জ্যান্ত খাওয়ানো হবে। শেষের বাক্যটি দাঁতে দাঁত পিষে কঠোর মুখে কথা বললেন আবু সালেহ।
সাজ্জাদ ড. আশরাফের কাছে উপরোক্ত বর্ণনাটি এক নিঃশ্বাসে দিয়ে ফেলল। সব শুনে ড. আশরাফ বললেন-কোনো চিন্তা করো না সাজ্জাদ। তোমার অভূক্ত শরীরের দুর্বলতা কাটানোর ব্যবস্থা করছি আমি। ধূম্রের খাদ্য বাহিনী তোমার মুখে অতি সূক্ষ্ম একটি নল ঢুকাবে। এতে তুমি বাঁধা দিও না। এরপর থেকে তোমার খাবার ও পানীয়ের প্রয়োজন হবে না, কিন্তু তোমার শরীরে যথেষ্ট শক্তি থাকবে। আর তোমাকে যে কাজের কথা বলেছিলাম সেটা ঐ পন্থায় বাস্তবায়ন করবে। মনোযোগ দিয়ে সব শুনে সাজ্জাদ বলল-জি স্যার। সেটা আমার ঠিকই মনে আছে। শরীরের দুর্বলতা কেটে গেলেই আমার উদ্দেশ্য পূরণে মুহূর্ত দেরী করব না।
চলবে

২য় পর্ব
(৪র্থ পর্ব)

Comments

comments

About

Check Also

মুবাহাসা (২য় পর্ব)

(পূর্ব প্রকাশের পর)মুসাল্লা উঠিয়ে নাওইমাম আযম আবু হানিফা র.-এর আদত মুবারক ছিল যখন তিনি শাগরিদকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *